নিজস্ব প্রতিবেদক
খেলনার আমদানি নির্ভরতা কমেছে
চাহিদার অর্ধেকেরও বেশি খেলনা তৈরি হচ্ছে দেশেই। কমেছে খেলনার আমদানি নির্ভরতা। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি এ খাত থেকে আয় হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে খেলনা শিল্পের বড় রফতানি বাজার তৈরি সম্ভব বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
চীন থেকে বড় আকারে খেলনা আমদানি শুরু হয় ৯০ দশকের শুরুতে। তবে এখন মোট চাহিদার শতকরা ৬০ ভাগ খেলনা উৎপাদন হচ্ছে দেশেই। চকবাজার ও এর আশপাশের এলাকাজুড়ে গড়ে উঠেছে শতাধিক খেলনা কারখানা। গাড়ি-পুতুলসহ প্রায় ৮০০ ধরনের খেলনা তৈরি হয় এখানে। ২০১৪ সালে আমদানি হয় পাঁচ হাজার কোটি টাকার খেলনা। আর দেশে উৎপাদন হয় দেড় হাজার কোটি টাকার। ২০১৫ সালে চার হাজার কোটি টাকার খেলনা আমদানি হলেও দেশে উৎপাদন হয় তিন হাজার কোটি টাকার। তবে গত বছর দেশের উৎপাদন বেড়ে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা হওয়ায় আমদানি কমে দাঁড়ায় সাড়ে তিন হাজারে।
দেশে তৈরি খেলনার অনেক যন্ত্রাংশ এখনো আমদানি করতে হয়। তাই উৎপাদন খরচ কমানো যাচ্ছে না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে যন্ত্রাংশ উৎপাদন করে খেলনার বড় রফতানি বাজার তৈরি করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে টয় মার্চেন্ট-ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন। দেশে বছরে খেলনার বাজার ৮ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকার। দোকান আছে সাড়ে চার হাজার। আর এ খাতে কর্মসংস্থান হয়েছে ১০ লাখেরও বেশি শ্রমিকের।
"