নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

টাকা পাচার হচ্ছে অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে

ব্যাংকের ভেতরে বিদেশি ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনাই মূলত অফশোর ব্যাংকিং। বিদেশি কোম্পানিকে ঋণ দেওয়া ও বিদেশি উৎস থেকে আমানত সংগ্রহের সুযোগ আছে এ ধরনের ব্যাংকিংয়ে। সব হিসাব হয় বৈদেশিক মুদ্রায়। তবে ব্যাংকের কোনো নিয়ম-নীতিমালা অফশোর ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে প্রয়োগ হয় না। কেবল মুনাফা ও লোকসানের হিসাব যোগ হয় ব্যাংকের মূল হিসাবে।

৩২ বছর আগে পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা তৈরির জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও তা তৈরি করা হয়নি। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ সুযোগ কাজে লাগিয়েই অফশোর ইউনিটগুলোর মাধ্যমে অর্থ পাচার হচ্ছে। এ অবস্থায় মানি লন্ডারিং আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নীতিমালা প্রণয়নে মনোযোগী হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক খাতের অফশোর ইউনিটের ঋণের স্থিতি এখন ৪৬ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা। আর জুন পর্যন্ত এ ইউনিটে খেলাপি ঋণ ছিল ৪২০ কোটি টাকা। কোন কোন ব্যাংকের বিরুদ্ধে অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আনা ঋণ অপব্যবহারের অভিযোগও আছে। অনেক ক্ষেত্রে এক উদ্দেশ্যে ঋণ এনে অন্য কাজে ব্যবহারের অভিযোগও পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আবার অনেক ঋণগ্রহীতাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

শুরুতে বিদেশি ব্যাংকগুলো থাকলেও প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ব্যাংক যুক্ত হচ্ছে অফশোর ব্যাংকিং সেবায়। দেশি-বিদেশি ৩৫টি ব্যাংক অফশোর ব্যাংকিং কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত। ১৯৮৫ সালে ব্যাংকগুলোর অফশোর ব্যাংকিং পরিচালনার জন্য একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই থেকে নানা কথা হলেও কোনো পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা হয়নি। ফলে ব্যাংকগুলো ইচ্ছেমতো ব্যবসা করছে। এবার ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়নের কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist