নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

চালের দাম কমাতে ‘প্লাস্টিকের বস্তা’

চালের দাম কমাতে পাটের বস্তার পরিবর্তে প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ বুধবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। গতকাল মঙ্গলবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চালকল মালিক সমিতির চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ এ তথ্য জানান।

এদিকে, চালের দাম কমাতে প্লাস্টিকে বস্তা ব্যবহারে ছাড় দেওয়া ঠিক হয়নি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এতে চাল সংকটের মতো পরিস্থিতি বাইরেও প্লাস্টিকের ব্যবহারে উৎসাহিত হবেন অন্যান্য ব্যবসায়ীরা। এমনকি প্লাস্টিক ব্যবহার রোধে সরকারি অভিযানও শিথিল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। পাট শিল্পের জন্যও এ সিদ্ধান্ত ক্ষতির বলে তারা মন্তব্য করেন।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে মিল মালিক, চালের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ওই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। বৈঠক শেষে মন্ত্রীদের কাছে জানতে চাইলে কেউ বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে এ সময় মিল মালিক ও আমদানিকারকরা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

চালকল মালিক সমিতির চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ বলেন, ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো চালের সংকট দূর না হওয়া পর্যন্ত বাধ্যতামূলক পাটের বস্তা ব্যবহার শিথিল করে প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার করা যাবে, চালের মিলে অভিযান বন্ধ করা এবং চাল আমদানি ও পণ্য খালাসে সব জটিলতা দূর করা। এ তিনটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলেই আগামীকাল থেকে দুই-তিন টাকা কমতে পারে।

প্রসঙ্গত, দেশে মোট ১৭টি পণ্য সংরক্ষণ, সরবরাহ ও মোড়কীকরণে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এরপরেও বহু পণ্যে প্লাস্টিকের বস্তার ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন সময় প্লাস্টিকের বস্তা ঠেকাতে ও পাটের বস্তা ব্যবহার নিশ্চিত করতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।

সরকারি বাধ্যবাধকতা ও অভিযানে বিভিন্ন পণ্যের মধ্যে শুধু চালের বস্তার ক্ষেত্রে পাটের বস্তার ব্যবহার বেড়েছিল। গতকালের ঘোষণায় ফের প্লাস্টিকের বস্তা ফিরে আসছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও আড়ত ঘুরে দেখা গেছে, এখনো পাটজাত বস্তার ব্যবহারে সরকারের সিদ্ধান্ত বেসরকারি কোম্পানি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা মানছেন না। সিটি গ্রুপের একটি সূত্র জানায়, তাদের বস্তার প্রয়োজন হয় আড়াই থেকে তিন কোটি। কিন্তু বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন উৎপাদন (বিজেএমসি) করে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ। এ অবস্থার কারণে তারা প্লাস্টিকের বস্তা ব্যবহার করছেন।

এমন অভিযোগে বিজেএমসি জানায়, কোনো কোম্পানি এখনো তাদের কাছে চাহিদা দেয়নি। চাহিদা পেলে প্রয়োজনে অন্যান্য পণ্য উৎপাদন সীমিত করে ব্যবসায়ীদের জন্য পাটের বস্তা সরবরাহ করা হবে।

সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এখনো আগের মতোই বাজারে প্রচলিত প্লাস্টিক বা পলিথিনের বস্তায় আটা, ময়দা, চিনি, ডাল, সার, চাল, আদা, রসুন ও পেঁয়াজ মোড়কজাত করা হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist