নিজস্ব প্রতিবেদক
ইলিশ, জামদানির পথে রসমালাই
রসমালাই। নাম শুনলেই স্বাদ নিতে ইচ্ছে করে। কুমিল্লার এই মিষ্টান্ন সারা দেশেই বিখ্যাত। এমনকি বিশ্বব্যাপী রয়েছে এর আবেদন। ঘরের অতিথি থেকে রাষ্ট্রীয় অতিথি সবখানেই এর কদর রয়েছে।
সম্প্রতি এই ঐতিহ্যবাহী পণ্যটি ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) নিবন্ধন পাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বিখ্যাত এ পণ্যটি এখন বৈশ্বিক স্বীকৃতি পাওয়ার অপেক্ষায়। এর ফলে ইলিশ, জামদানির পরে রসমালাইয়ের স্বত্ত্ব পাবে বাংলাদেশ।
জানা গেছে, উনিশ শতকের প্রথম দিকে ত্রিপুরা রাজ্য তথা কুমিল্লার ঘোষ সম্প্রদায় দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে ক্ষীর বানিয়ে তাতে ছোট আকারের শুকনো ভোগ বা রসগোল্লা ভিজিয়ে যে মিষ্টান্ন তৈরি করে, তা ক্ষীরভোগ নামে পরিচিতি পায়। ক্রমান্বয়ে এই ক্ষীরভোগ রসমালাই নামে পরিচিত হয়ে উঠে।
১৯৩০ সালে কুমিল্লা শহরের মনোহরপুরে মাতৃভান্ডার নামের দোকানে ঐতিহ্যবাহী ও বিখ্যাত এই রসমালাই বিক্রি শুরু হয়। খনিন্দ্র সেন ও মণিন্দ্র সেন নামের দুই ভাই রসমলাই তৈরি করে বিক্রি শুরু করেন। খুব অল্প দিনের মধ্যে রসমালাইয়ের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। হয়ে ওঠে কুমিল্লার ঐতিহ্যের অংশ।
কোনো একটি দেশের মাটি, পানি, আবহাওয়া এবং ওই জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি যদি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাহলে সেটিকে ওই দেশের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। অর্থাৎ সেই পণ্য শুধু ওই এলাকা ছাড়া অন্য কোথাও উৎপাদন করা সম্ভব নয়।
এর আগে বাঙালির জাতীয় মাছ- ইলিশ ও জামদানি ভৌগোলিক নির্দেশক- জিআই পণ্য বা বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এর ফলে এই দুই পণ্য এখন এদেশের নিজস্ব পণ্য হিসেবে গোটাবিশ্বে স্বীকৃতি পাচ্ছে।
"