নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৬ আগস্ট, ২০১৭

শুল্ক উঠে যাচ্ছে চাল আমদানির

সব ধরনের শুল্ক সম্পূর্ণরূপে তুলে দেয়া হচ্ছে চালের আমদানিতে। এতে বাজার স্থিতিশীল হবে ও দ্রুত মজুদ বাড়াবে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর কাজ চলছে। অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলে দ্রুত শুল্ক উঠে যাওয়ার আদেশ জারি করতে পারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

এদিকে, চাল আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের আশায় বেনাপোল স্থলবন্দরে আটকে আছে প্রায় ২০০ চাল বোঝাই ট্রাক। খোলা আকাশের নিচে বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হচ্ছে চাল।

আমদানিকারকরা জানান, প্রতিদিন ভারত থেকে শত শত ট্রাক চাল আমদানি করা হয় বেনাপোল ও ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে। কিন্তু সরকার চাল আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করবে এই আশায় বন্দর থেকে চাল খালাস বন্ধ রেখেছে আমদানিকারকরা। ফলে গত ৫ দিনে বেনাপোল বন্দরে আটকে আছে ২শ চাল বোঝাই ট্রাক।

শুল্ক সম্পূর্ণরূপে তুলে দিতে গত ৬ আগস্ট এ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এনবিআরকে চিঠি দিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়। খাদ্য অধিদফতরের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় এ প্রস্তাব দেয়। খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এনবিআরে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ভোক্তার স্বার্থে উর্ধমুখী চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারী পর্যায়ে চাল আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়। বেসরকারী পর্যায়ে চাল আমদানি শুল্ক ২৮ শতাংশ বহাল থাকায় এ ক্ষেত্রে এক ধরনের স্থবিরতার সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতিতে দেশে চাল প্রস্তুতকারী রাইস মিলার, সচ্ছল কৃষক ও বড় বড় চাল ব্যবসায়ীদের মধ্যে মজুদ প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। এতে বাজারে চালের সরবরাহ কমে গিয়ে বাজারদর বাড়তে থাকে।

এ অবস্থায় আমদানি শুল্ক ২৮ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হলে বেসরকারী পর্যায়ে চাল আমদানি গতি পায়। চলতি অর্থবছরের মাত্র ২৩ দিনে এক লাখ ১৬ হাজার ৬১ টন চাল আমদানি হয়। এর পাশাপাশি সরকারী পর্যায়ে বিভিন্ন চুক্তির আওতায় চাল আমদানির উদ্যোগ গ্রহণ করায় দেশের চালের বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। ফলে চুক্তিবদ্ধ মিলার যারা অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ অভিযানের চুক্তির আওতায় চাল সরবরাহ দিতে অনিচ্ছুক ছিলেন তাদের মধ্যে চাল সরবরাহের আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে। অনেকে মূল চুক্তির চাল সরবরাহ করে পুনরায় বরাদ্দ গ্রহণ করছেন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, চাল আমদানির ওপর আরোপিত আংশিক (১৮ শতাংশ) শুল্ক প্রত্যাহার, সরকারী পর্যায়ে বা দরপত্রের মাধ্যমে চাল আমদানির উদ্যোগ ইত্যাদি বিষয়গুলো পর্যালোচনায় দেখা যায়, সরকারী ভান্ডারে মজুদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে চাল আমদানিতে ১৮ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। শুল্ক কমানোর ফলে দ্রুতগতিতে বেসরকারী পর্যায়ে চাল আমদানি হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ বাজারে এর অনুকূল প্রভাবে প্রতিদিনই সরকারী ভান্ডারে প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার মেট্রিক টন চাল পাওয়া যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, চালের আমদানি নিরুৎসাহিত করতে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে শুল্কহার ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়। এর সঙ্গে ৩ শতাংশ যোগ হয় রেগুলেটরি ডিউটি (আরডি)। ফলে ব্যবসায়ীদের ২৮ শতাংশ শুল্ক গুনতে হয়। এতে গত দেড় বছর ধরে চাল আমদানি প্রায় বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে গত ২ মে চাল আমদানি শুল্কমুক্ত করতে এনবি আরকে চিঠি দিয়েছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist