নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৬ জুলাই, ২০১৭

বিশ্বব্যাংকের সহায়তায়

চার স্থলবন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা

অবকাঠামো উন্নয়ন দুর্বলতার কারণে পিছিয়ে পড়ছে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। থমকে আছে বিনিয়োগের গতি। দেশের বন্দরগুলোর অবকাঠামো দুর্বল ও ব্যবস্থাপনা অনাধুনিক। প্রায়শ কন্টেইনার জটের কারণে দ্বিগুণ মাশুল গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এসব পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য সম্প্রতি বেনাপোল বন্দর ২৪ ঘন্টা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো পণ্যাগারের অভাবসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত বন্দরটি। অধিকাংশ বন্দরের একই অবস্থা।

এমন পরিস্থিতিতে দেশের চার স্থল বন্দরের উন্নয়নে সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বন্দরগুলো হচ্ছেÑ শেওলা, ভোমরা, রামগড় স্থলবন্দর উন্নয়ন এবং বেনাপোল স্থলবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থার উন্নয়ন। বিশেষত ভারতের সাথে বাংলাদেশের স্থলবন্দরের মাধ্যমে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্যই বন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আগামী সভায় বন্দর উন্নয়ন কাজের পরিকল্পনা উপস্থান করা হবে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। সূত্র জানায়, অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের কাজ শেষ করবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১০০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা এবং বিশ্বব্যাংক ৫৯২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট-১ শীর্ষক এই প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশের সাথে ভারতের ৪ হাজার ৯৫ কিলোমিটার মায়ানমারের ২৫৬ কিলোমিটার এবং উপকূলীয় এলাকায় ৫৮০ কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমারেখা রয়েছে। এই সকল সীমারেখার মধ্যে অনেকগুলো স্থল বন্দর রয়েছে যেখান দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরণের পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়। এছাড়াও প্রতিনিয়ত অনেক পর্যটক স্থল বন্দরগুলো দিয়ে চলাচল করে।

বেনাপোল স্থলবন্দর : বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর বেনাপোলে। বন্দরটি যশোর জেলার শার্শা উপজেলায় অবস্থিত। এশিয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন সাসেক রোড কানেক্টিভিটি প্রজেক্টÑবেনাপোল ও বুড়িমারি স্থল বন্দর উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পটি বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন আছে। বন্দরে বাউন্ডারী দেয়ালসহ আধুনিক সিকিউরিটি এবং গেট না থাকায় তা প্রকল্পে প্রস্তাব করা হয়েছে।

ভোমরা স্থলবন্দর : এ বন্দরটির কর্যকর্ম শুরু হয়েছে ২০১৩ সাল থেকে। এডিপির মাধ্যমে এখানে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। যার মাধ্যমে ওপেন ইয়ার্ড, ওয়ার হাউজ এবং অন্যান্য ভৌত কাঠামো স্থাপন করা হয়। বর্তমানে আমদানিকৃত কার্গোর ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার হয়। এছাড়া বন্দরে পর্যটক আসা-যাওয়া করায় যাত্রী টার্মিনালসহ অবকাঠামো তৈরি করা প্রয়োজন। পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হলে এই স্থলবন্দর দিয়ে কলকাতার সাথে যোগাযোগ আরো বাড়বে।

শেওলা স্থলবন্দর : শেওলা কাষ্টমস স্টেশনকে ২০১৫ সালে স্থলবন্দর হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। এটি সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলায় অবস্থিত। ভারতের অংশে এটির নাম সুতারকান্দি স্থলবন্দর, যা আসামের করিমগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। বর্তমানে এখানে কোন অবকাঠামোগত স্থাপনা নেই। একটি সেমিপাকা ভবন রয়েছে, যা ইমিগ্রেশন অফিস হিসাবে ব্যবহার হয়। এই স্থল বন্দরের কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য এখানে অবকাঠামোগত স্থাপনা নির্মানের জন্য কার্যক্রম প্রয়োজন।

রামগড় স্থলবন্দর : খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলায় রামগড় স্থলবন্দর অবস্থিত। ত্রিপুরার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রসারে এই বন্দরটি গুরুত্বপূর্ণ। বন্দরের অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি হলে ত্রিপুরা রাজ্যে বাংলাদেশের পণ্যের আমদানি-রফতানি বৃদ্ধি পাবে। তখন চট্রগ্রাম সমুদ্র বন্দরের দক্ষতাকে আরো ভালোভাবে কাজে লাগানো যাবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist