নিজস্ব প্রতিবেদক
টানা শেয়ার পতনে আতঙ্কে বিনিয়োগকারীরা
দরপতনের কবল থেকে কিছুতেই মুক্তি মিলছে না। এপ্রিল থেকে মে মাস পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই সূচক কমছে। সূচকের এ পতন শেষ পর্যন্ত কোথায় যাবে-এ নিয়ে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
মন্দা বাজারে শেয়ার বিক্রি করে বের হলেও ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পুঁজি হারাতে হবে। কেউ কেউ সন্দেহ করছেন, গত আট মাসে বাজারকে কৃত্রিমভাবে বাড়ানো হয়েছিল কি না?
বিভিন্ন নীতি-নির্ধারক ও স্টক হোল্ডারদের সমন্বয়হীনতার কারণে পুঁজিবাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এছাড়া কারসাজি চক্রের দৌরাত্ম, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, আইনি জটিলতা ও নীতি-নির্ধারণী মহলের উদাসীনতায় দুর্বল কোম্পানিকে বাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের অনুমোদন দেয়ায় বাজারের ওপর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থার সঙ্কট বাড়ছে। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি বছরের ৪ এপ্রিল দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধনের পরিমাণ ছিল তিন লাখ ৮৪ হাজার ৭৪৯ কোটি ২৮ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার মূলধনের পরিমাণ দাঁড়ায় তিন লাখ ৬৭ হাজার ৪৬৫ কোটি ৮৮ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ মাত্র ৩১ কার্যদিবসের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১৭ হাজার ২৮৩ কোটি ৩৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা।
"