নিজস্ব প্রতিবেদক
রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর সংশয়
চলতি অর্থবছরে রফতানির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় বাংলাদেশ সাসটেইনেবল এপারেল ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, চলতি বছরে ইউরোর দরপতন, পোশাকশিল্পের পণ্যের মূল্য কমে যাওয়াসহ নানা কারণে রফতানির ৩৭ বিলিয়ন ডলার আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জন নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে বছর শেষে রফতানি আয় ৩৭ বিলিয়ন ডলার না হলেও ৩৬ বিলিয়ন ডলার হবে বলে আশা করছি। রানা প্লাজা ধসের পর পোশাকশিল্পের উন্নয়নে উদ্যোক্তারা কাজ করলেও কথা রাখেননি ক্রেতারা। তারা বলেছিলেন, পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করবেন। কিন্তু এখন তারা পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি তো দূরের কথা বরং মূল্য কমানোর বিষয়ে দরকষাকষি করছেন।
সরকার ইপিজেড আইন সংশোধের বিষয়ে ভাবছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইপিজেড আইন নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। বর্তমান সরকার সব দিক বিবেচনা করে এ আইন সংশোধনের বিষয়ে ভাবছে। মূল্য সক্ষমতার দিকে নজর দিতে হবে সবাইকে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কে একসঙ্গে কাজ করে টেকসই পোশাকশিল্প গড়ে তুলতে হবে। ক্রেতাদের সঙ্গে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের মধ্যে যে অনাস্থা তৈরি হয়েছে সে বিষয়ে কাজ করার তাগিদ দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত লিওনি কুয়েলিনেয়ার। তিনি বলেন, ক্রেতা ও বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের মধ্যে একটি অনাস্থা তৈরি হয়েছে। তা দূর করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হবে।
"