নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১১ আগস্ট, ২০২০

ইন্টারনেট থেকে আয় বেড়েছে বাংলালিংকের

কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইন্টারনেট ডেটা থেকে আয় গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৩০ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে বাংলালিংকের। গতকাল সোমবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।

বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস বলেন, ‘এই বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ডেটা থেকে বাংলালিংকের আয় গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৩০ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফোর-জি নেটওয়ার্কে বাংলালিংকের চলমান বিনিয়োগ এই বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সহায়তা করেছে।

‘উন্নত ও দেশব্যাপী সম্প্রসারিত এই নেটওয়ার্কের কারণে বাংলালিংকের ডেটা ব্যবহারকারীর সংখ্যা ও ডেটা ব্যবহারও গত বছরের একই প্রান্তিক সাপেক্ষে যথাক্রমে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ ও ৭৯ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত বছরে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইন্টারনেট ডেটা থেকে আয় ছিল ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন টাকা, যা এই বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে হয়েছে ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন টাকা।

এ ছাড়া চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বাংলালিংকের ৩ কোটি ২১ লাখ গ্রাহকের মধ্যে ২ কোটি ১৮ লাখ গ্রাহক ডেটা ব্যবহার করছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।

গত বছর দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রাহকপ্রতি ডেটা ব্যবহার ছিল ১ হাজার ২৫০ এমবিপিএস, যা এ বছরে একই সময়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৪০ এমবিপিএস। এ হিসাবে ডেটা ব্যবহার বেড়েছে ৭৯ দশমিক ২ শতাংশ।

মহামারির কারণে নানামুখী চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ইতিবাচক ব্যবসায়িক ফলাফল অব্যাহত রাখতে আশাবাদী এরিক অস।

‘টেলিকম খাতের ওপর করোনাভাইরাস মহামারির সামগ্রিক প্রভাবের ফলে বাংলালিংকের আয় ও গ্রাহকসংখ্যা দ্বিতীয় প্রান্তিকে হ্রাস পেয়েছে। তবে এ সময় ডেটা ব্যবহারকারীর সংখ্যা ও ডেটা থেকে আয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে বাংলালিংক।’

এরিক অস বলেন, ‘মহামারি, সাইক্লোন ও বন্যার কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে গ্রাহকসেবা অব্যাহত রাখতে আমাদের আরো বেশি সচেষ্ট হতে হয়েছে। কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও গ্রাহকসেবা নিরবচ্ছিন্ন রাখার লক্ষ্যে আমরা হোম অফিস মডেল কার্যকর করেছি। এখন সেই আন্তরিক প্রচেষ্টার ইতিবাচক ফলাফল দেখতে পেরে আমরা সত্যিই অনুপ্রাণিত বোধ করছি।

আমাদের ডিজিটাল সেবার ফলাফল অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। আমাদের এই প্রচেষ্টার ফলে বছরের প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশের ফাস্টেস্ট মোবাইল নেটওয়ার্ক হিসেবে বাংলালিংক ওকলার স্বীকৃতিও লাভ করেছে। বিস্তৃত ফোর-জি নেটওয়ার্ক এবং গ্রাহকপ্রতি বেশি পরিমাণ স্পেকট্রামসহ আমাদের অন্যান্য প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলাফল হলো এ পুরস্কার।

সংবাদ সম্মেলনে এরিক অস মহামারির সময় বাংলালিংকের নেওয়া উদ্যোগ তুলে ধরেন। এই উদ্যোগগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ফ্রি করোনা হটলাইন নম্বর চালু করা, ‘টিচ ইট’ প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে ই-লার্নিংয়ের ব্যবস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ভার্চুয়াল ইন্টার্নশিপ ও সেমিনারের আয়োজন এবং বাংলাদেশ সেনাকল্যাণ সংস্থা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ।

সিগনিফিক্যান্ট মার্কেট পাওয়ার গাইডলাইন (এসএমপি) বাস্তবায়নের জন্য টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রতি ধন্যবাদ জানান এরিক অস। এই উদ্যোগকে টেলিকম খাতে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করেন তিনি।

ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার জেম ভেলিপাসাওগ্লু, সেলস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন অফিসার জুবায়েদ-উল ইসলাম ও প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের অন্য সদস্যরা যুক্ত ছিলেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close