নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৮ জুলাই, ২০২০

কম্প্রেসার দিয়ে তুরস্কে ওয়ালটন পণ্যের রফতানি শুরু

জাতীয় অর্থনীতিতে একের পর এক স্বস্তির খবর নিয়ে আসছে ওয়ালটন। ‘মেড ইন বাংলাদেশ’খ্যাত উচ্চমানের পণ্য রফতানিতে অর্জন করে চলেছে ব্যাপক সাফল্য। জয় করে চলেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। এরই ধারাবাহিকতায় এবার দেশে তৈরি উন্নত মানের কম্প্রেসার রফতানির মাধ্যমে তুরস্কে ব্যবসায়িক কার্যক্রমের সূচনা করল ওয়ালটন। নিজস্ব ব্র্যান্ড নামেই এসব কম্প্রেসার রফতানি করছেন তারা। ধাপে ধাপে যাবে ওয়ালটনের রেফ্রিজারেটর, টিভিসহ অন্যান্য প্রযুক্তিপণ্য। ইউরেশিয়া অঞ্চলের বিজনেস হাব হিসেবে খ্যাত তুরস্ক। সে দেশের খ্যাতনামা প্রযুক্তিপণ্য বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান কার্গি সগুতমা ইসিতমা স্যান. ভি টিক. লিমিটেড। তুরস্ক ও ইউরোপের অসংখ্য ইলেকট্রনিকস ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিতে প্রচুর পরিমাণ প্রযুক্তিপণ্য ও যন্ত্রাংশ সরবরাহ করে তারা। আর তাই কম্প্রেসার সরবরাহের পাশাপাশি কার্গির সঙ্গে কৌশলগত দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে বাংলাদেশের ইলেকট্রনিকস জায়ান্ট ওয়ালটন। ফলে তুরস্কসহ সমগ্র ইউরোপেই ওয়ালটন পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের সম্ভাবনাময় এক বিশাল দ্বার উন্মোচন হলো।

গতকাল রাজধানীতে ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল কনফারেন্সে আনুষ্ঠানিকভাবে তুরস্কে কম্প্রেসার রফতানির প্রথম শিপমেন্টের উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সেসময় ওয়ালটন ও কার্গির মধ্যে ডিস্ট্রিবিউটরশিপ বিজনেস চুক্তি হয়। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ওয়ালটনের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিটের প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম এবং কার্গির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমিন কার্গি।

ভার্চুয়াল কনফারেন্সে বক্তব্য দেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, বাণিজ্য সচিব জাফর উদ্দিন, তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দিকি, বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ, ওয়ালটন কম্প্রেসারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্রকৌশলী মীর মুজাহেদীন ইসলাম এবং ওয়ালটন কম্পিউটারের সিইও লিয়াকত আলী। কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন ওয়ালটনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফিরোজ আলম।

ওয়ালটনকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘আমি ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করে দেখেছি তারা নানা উচ্চমানের পণ্য তৈরি করে। তবে কম্প্রেসারের মতো এত উচ্চপ্রযুক্তির পণ্য তৈরি এবং রফতানি করতে দেখে আমি অভিভূত। কম্প্রেসারের পাশাপাশি ওয়ালটন মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন পণ্য রফতানি করছে। যা বাংলাদেশের জন্য মহৎ উদ্যোগ। ওয়ালটন সত্যিই এ খাতে জায়ান্ট। আমি নিশ্চিত, ওয়ালটন আরো এগিয়ে যাবে এবং বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ, আমেরিকাসহ উন্নত দেশগুলোতে ইলেকট্রনিকস এবং প্রযুক্তিপণ্য রফতানির পরিমাণ বাড়বে। বাংলাদেশ এশিয়ার ৮ম ও বিশ্বের ১৫তম কম্প্রেসার উৎপাদনকারী দেশ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close