নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৪ জুন, ২০২০

করোনাকালে গ্রাহক ও কর্মীদের পাশে পদ্মা ব্যাংক

মহামারি করোনাভাইরাসের এই দুঃসময়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গ্রাহক ও কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছে পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড। গ্রাহকসেবার প্রতি বিশেষ নজর দিতে বয়স্ক ও বিশেষ গ্রাহকদের হোম সার্ভিসের পাশাপাশি সব গ্রাহকদের নিশ্চিত করেছে অনলাইন সেবা। অন্যদিকে কর্মীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনা করে অন্তত ৩০০ কর্মকর্তাকে ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ঘরে বসে তারা ব্যাংকের অনলাইন সেবা দেওয়ার মূল দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এছাড়া করোনার মতো সংকটে দীর্ঘমেয়াদে অনলাইন গ্রাহকসেবা যাতে দেওয়া সম্ভব হয় সেজন্য নিজেরাই তৈরি করছেন সফটওয়্যার। শিগগিরই যার উদ্বোধন হতে হচ্ছে।

ব্যাংকটির কর্মকান্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে পদ্মা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. এহসান খসরু গণমাধ্যমকে বলেন, আমরাই প্রথম ব্যাংক, যারা করোনার মতো দুর্যোগে আমাদের প্রায় ৩০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ঘরে বসে কাজ করার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তারা সংঘবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এটি একটি বিশাল বিষয়। আর এ কাজের জন্য আমরা নিজেরা সফটওয়্যার ডেভেলপ করেছি। এ সফটওয়্যার আমরা নিজেরাই তৈরি করেছি। যা বাইর থেকে ক্রয় করতে পাঁচ থেকে ছয় কোটি টাকা লাগতো। শিগগিরই আমরা তা উদ্বোধনে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা জানি না, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কত দিন থাকেÑ সে কারণে আমরা অল্প সময়ের মধ্যে এমন আয়োজন করেছি। তবে আমাদের সক্ষমতা ও পরিকল্পনা দীর্ঘমেয়াদি।

ব্যাংকটির অনলাইন সেবার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এমডি বলেন, আমাদের অনলাইন সার্ভিসও বেশ ভালো। ঘরে বসে ব্যাংকের যে বিশাল টিম কাজ করছেন, তাদের অনলাইন সেবায় নিয়োজিত করেছি। এক মিনিটে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলাসহ অনলাইনে যাতে গ্রাহকসেবা নেওয়া যায়, সে কারণে অনেক গ্রাহককে অনলাইনে ট্রেনিং পর্যন্ত দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এ সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব। আমাদের শাখাগুলো থেকে গ্রাহকদের হোম সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে যারা বয়স্ক রয়েছেন, তাদের জন্য এই সেবা সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো করছে।

তিনি বলেন, সংকটকালীন বাংলাদেশের অনেক ব্যাংক ৫০ শতাংশের বেশি বন্ধ রেখেছে। সেখানে আমরা আমাদের শাখাগুলো কখনোই বন্ধ রাখিনি। আমাদের ৫৭টি শাখাই খোলা রেখেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সরাসরি নির্দেশনা ছাড়া পদ্মা ব্যাংকের কোনো শাখাই বন্ধ রাখিনি। আমরা গ্রাহকদের এটাই বলি, আমরা সব সময় আপনাদের পাশেই আছি। আপনাদের জন্য আমাদের হোম সার্ভিসগুলো বাড়িয়ে যাব।

ব্যাংক সূত্রে আরো জানা যায়, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে প্রথম থেকেই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্যাংকটি অধিক সচেতন। করোনা প্রাদুর্ভাবের পর থেকে কর্মকর্তাদের পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে। এমনকি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে অনেক গ্রাহকদেরও পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে। রাজধানী ও ঢাকার বাইরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যাতায়াত করার জন্য যানবাহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনার ঝুঁকি মোকাবিলায় সব কর্মীদের পিপিই, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লাভস দেওয়া হয়েছে। যারা ঢাকার বাইরে গেছেন তাদের অফিসে প্রবেশের আগে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করে অফিস করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া নিশ্চিত করা হচ্ছে, কর্মীদের স্বাস্থ্যবিমা। আর গ্রাহকদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে শাখায় প্রবেশ করানো হচ্ছে। এছাড়া মুখে মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে গ্রাহকসেবা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি কোনো গ্রাহকের যদি মাস্ক না থাকে সেক্ষেত্রে গ্রাহকদের মাস্ক সরবরাহ করা হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close