নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৪ মার্চ, ২০২০

স্বশাসিত সংস্থাগুলোর উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি তহবিলে জমা শুরু

অর্থবছর শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে স্বশাসিত সংস্থাগুলোর উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি তহবিলে জমা হতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে কটি প্রতিষ্ঠানের উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি তহবিলে জমা পড়েছে। এর পরিমাণ প্রায় আট হাজার কোটি টাকা।

চলতি সপ্তাহে আরো কটি সংস্থার অর্থ সরকারি তহবিলে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত একটি বৈঠক হবে বলে অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এর আগে প্রতি অর্থবছর শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে স্বশাসিত সংস্থাগুলোর উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি তহবিলে ফেরত দিতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ অর্থ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় করা হবে। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রণালয় থেকে ৬১টি সংস্থা চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ‘স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যান্সিশিয়াল করপোরেশনসহ স্বশাসিত সংস্থাসমূহের তহবিলের উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা আইন, ২০২০’ জাতীয় সংসদে অনুমোদন দেওয়ার পর গেজেট আকারেও ইতোমধ্যে প্রকাশ হয়েছে।

জানা গেছে, পেট্রোবাংলার তহবিলের উদ্বৃত্ত অর্থ হিসেবে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে চার হাজার কোটি টাকা ও তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার বিক্রি বাবদ ১ হাজার ৮৭০ কোটি ৮৮ লাখ টাকাসহ মোট ৫ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এরই মধ্যে পেট্রোবাংলার শেয়ার বিক্রির অর্থ অনতিবিলম্বে জমা দিতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া পেট্রোবাংলার তহবিলের উদ্বৃত্ত অর্থের প্রথম কিস্তি হিসেবে এক হাজার কোটি টাকা গত ১০ মার্চ জমা দেওয়া হয়। বাকি তিন হাজার কোটি টাকা এপ্রিল-জুন সময়ে প্রতি মাসে এক হাজার কোটি টাকা করে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) তহবিলের উদ্বৃত্ত অর্থ হিসেবে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে দুই হাজার কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে। এর অংশ হিসেবে ১৫ মার্চের মধ্যে ৫০০ কোটি টাকা জমা দিতে বলা হয়। বাকি ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এপ্রিল-জুন সময়ে সমান চার কিস্তিতে জমা দিতে বলা হয়। আগামী ২৪ মার্চ অর্থমন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সে বৈঠকের আগে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের উদ্বৃত্ত তহবিলের হিসাব দাখিলের কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে কমিশনের উদ্বৃত্ত তহবিলের ৫০ কোটি টাকা এবং বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উদ্বৃত্ত তহবিলের ৬০০ কোটি টাকা জমা দিতে হবে। তবে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৬০০ কোটি টাকার মধ্যে ১৫০ কোটি টাকা ২৫ মার্চের আগে জমা দিতে হবে। বাকি ৪৫০ কোটি টাকা এপ্রিল-জুন সময়ে প্রতি মাসে ১৫০ কোটি টাকা করে জমা দিতে পারবে।

বৈঠকে যোগ দিতে যেসব সংস্থাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, তাদের নিজ নিজ সংস্থার বিগত ৫ বছরের হিসাব বিবরণী, চলমান ও পরবর্তী ৩ বছরের মধ্যে বাস্তবায়নযোগ্য অনুমোদিত উন্নয়ন প্রকল্পের তালিকা (প্রকল্পসহ বছরভিত্তিক আয়-ব্যয়ের হিসাব), বিগত ৩ বছরের বাস্তবায়িত আশ্রয়ণ প্রকল্পের হিসাবসহ তালিকা ও প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়-সংক্রান্ত অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য উপস্থাপন করতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close