নিজস্ব প্রতিবেদক
আমদানি করা পুরোনো গাড়ির শুল্ক কমানোর প্রস্তাব বারভিডার
আমদানি করা পুরোনো গাড়ির শুল্ক কমানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)। বিশেষ করে শুল্ক ফাঁকি ঠেকাতে বেশি সিসির গাড়িতে সম্পূরক শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবন সভাকক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রাক-বাজেট আলোচনায় বারভিডার সভাপতি আবদুল হক এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে আলোচনায় বারভিডার নেতারা ছাড়াও এনবিআরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনটির প্রস্তাবে ১৮০০ সিসি পর্যন্ত ইঞ্জিন ক্ষমতাসম্পন্ন হাইব্রিড প্রযুক্তির গাড়িতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক অব্যাহত রাখা এবং ১৮০১ থেকে ২৫০০ সিসি পর্যন্ত ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়। এ ছাড়া ২৫০১ থেকে ৩৫০০ সিসি পর্যন্ত ৬০ শতাংশ, ৩৫০১ থেকে ৪০০০ সিসি পর্যন্ত ১০০ শতাংশ, ৪০০ সিসির ওপরে ২০০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যদিকে ১৮০০ সিসির মাইক্রোবাস ১০ শতাংশ, ১৮০১ সিসি থেকে ২৫০০ সিসি পর্যন্ত ২০ শতাংশ এবং ২৫০১ বা তদূর্ধ্ব মাইক্রোবাস আমদানিতে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি।
বারভিডার সভাপতি আবদুল হক বলেন, ব্র্যান্ডনিউ গাড়ির মূল্য নির্ধারিত হয় আমদানিকারকের ঘোষিত মূল্যের ভিত্তিতে। এতে নতুন গাড়ির চেয়ে পুরোনো গাড়ির কর বেশি দাড়াচ্ছে, যা বৈষম্য তৈরি করছে। তাই পুরোনো গাড়ির রফতানিযোগ্য মূল্য নতুন মূল্য থেকে ২০ শতাংশ বিয়োজন দিয়ে নির্ধারণের প্রস্তাব করেন তিনি।
তিনি বলেন, ইয়োলোবুকে প্রদর্শিত নতুন মূল্যের সঙ্গে জাপানের অভ্যন্তরীণ বাজারের খুচরা বিক্রেতার ডিলার কমিশন ২০ শতাংশ যুক্ত করা আছে। তাই পুরোনো গাড়ির রফতানিযোগ্য মূল্যে এই ২০ শতাংশ বিয়োজন না দিলে বৈষম্য কমানো যাবে না। এর জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান রহমাতুল মুনিম পুরোনো গাড়ির রফতানিযোগ্য মূল্যে ২০ শতাংশ বিয়োজন দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানান।
"