নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

‘যাদের জায়গা-জমি নেই তাদের আবাসনের ব্যবস্থা করবেন প্রধানমন্ত্রী’

যাদের জায়গা-জমি নেই, বসবাস করার মতো আবাসনের ব্যবস্থা নেই, তাদের সবাইকে প্রধানমন্ত্রী জায়গা-জমি দেবেন এবং আবাসনের ব্যবস্থা করে দেবেন বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

গত রোববার শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশর (ডিজেএফবি) অভিষেক অনুষ্ঠান উপলক্ষে উন্নয়নের গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ভূমিহীনদের সবার বাসস্থানের ব্যবস্থা করা আমেরিকায় সম্ভব না। পুরো ইউরোপেও সম্ভব না। এর চেয়ে বড় শক্তিশালী ভূমিকায় কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রী অবতীর্ণ হতে পারেন, এটা কল্পনা করতেও ভয় লাগে। কিন্তু তিনি সেটা ডেলিভার করবেন, সেটা আমাদের সবাইকে বিশ্বাস রাখতে হবে।

মুস্তফা কামাল বলেন, আমি বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই ২০৩০-এর স্বপ্ন পূরণ হবে এবং ২০৪১-এর স্বপ্নও বাস্তবায়ন করতে পারব। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হবে। সবাই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যত চাহিদা শিক্ষা খাতে, সেগুলো তারা মোকাবিলা করতে পারবে। সেগুলোকে ব্যবহার করে জাতিকে আরো সামনে নিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, এ কাজগুলো সময়ের ব্যাপার। আমাদের সম্পর্কে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সেন্টার ফর ইকোনমিকস রিসার্চ এরই মধ্যে বলেছে, ২০২৪ সালের মধ্যেই আমরা মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরের ওপরে যাব।

ডিজেএফবি সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের সংগঠন অনেক সুন্দরভাবে কাজ করুক। দেশের মানুষকে বিকশিত করুক। এটাই আমাদের দোয়া।’

এ সময় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, তৃণমূলে ৭০-৮০ ভাগ মানুষ যারা বসবাস করেন, তারা উন্নয়ন চান। শুধু কথার উন্নয়ন নয়, একদম বিগস অ্যান্ড ব্যাগ দেখতে চান চোখে। সেতু কালভার্ট ইমিডিয়েটলি দেখতে চান তারা। ভাতা বা অবলম্বন, পরিষ্কার পানির স্বপ্ন এগুলোই চান তারা।

ডিজেএফবির সদস্যদের উদ্দেশে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করুন। আমার পক্ষ থেকে সম্পূর্ণরূপে সাহায্য-সমর্থন পাবেন। আমরা সবাই চাই, তথ্যপ্রবাহ অবাধ হোক। এতে আমাদের লাভ, শুধু আপনাদের লাভ না। আপনারা যে কদিন আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন, আমি বলছি, সম্পূর্ণ শতভাগ অবাধ সহযোগিতা দেওয়া হবে।

ডিজেএফবির সভাপতি এফ এইচ এম হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের কার্যনির্বাহী সদস্য সুশান্ত সিনহা। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক মো. সাইফুল আলম ও এএফপির বাংলাদেশের ব্যুরো চিফ শফিকুল আলম।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব নূরুল আমিন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (জ্যেষ্ঠ সচিব) ড. শামসুল আলম, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সদস্য (সচিব) আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) বেগম ফাতেমা ইয়াসমিন প্রমুখ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close