নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি

উপকারভোগীর হাতে আরো সহজে অর্থ পৌঁছে দিতে কমিটি গঠন

সরকারের নেওয়া বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দ করা অর্থ উপকারভোগীর হাতে আরো সহজে পৌঁছে দিতে এবং অন্যান্য কার্যক্রম মনিটরিং করতে একজন অতিরিক্ত সচিবকে সভাপতি করে ১০ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যেই সরকারের দেশব্যাপী পরিচালিত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ভাতা, সম্মানী, বৃত্তি, উপবৃত্তি ও নগদ হস্তান্তর সরকারি ট্রেজারি থেকে সরাসরি উপকারভোগীর ব্যাংক অথবা মোবাইল ব্যাংক হিসেবে গভর্নমেন্ট টু পারসন (জিটুপি) পদ্ধতিতে পাঠানো শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বিভিন্ন কর্মসূচির উপকারভোগীকে নির্ধারিত ক্ষুদ্র অঙ্কের নগদ অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে একটি অভিন্ন ক্যাশ আউট চার্জের পরিমাণ নির্ধারণ ও সরকার কর্তৃক তা পরিশোধের বিষয়ে সুপারিশ পেশ করার জন্য এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। অর্থবিভাগের (বাজেট-১ অণুবিভাগ) অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন অর্থ বিভাগের এসপিএফএমএসপি প্রকল্পে নির্বাহী পরিচালক ড. মো. ফেরদৌস হোসেন, অর্থ বিভাগের যুগ্মসচিব (এনটিআর) নাসরিন সুলতানা, যুগ্মসচিব (বাজেট-৩) নাজমা মোবারেক, যুগ্মসচিব (বাজেট-৭) মো. আবদুর রহমান খান, যুগ্মসচিব মো. সাইফুল ইসলাম, প্রতিনিধি বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রতিনিধি হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, ঢাকা এবং অর্থ বিভাগের উপসচিব (বাজেট-৯) মো. হাবিবুর রহমান। কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে কাজ করবেন মো. হাবিবুর রহমান। কমিটির কার্যপরিধি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এ কমিটি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সব উপকারভোগীর ভাতা, মজুরি, বৃত্তি, উপবৃত্তি ইত্যাদি ক্ষুদ্র নগদ অর্থ গভর্নমেন্ট টু পারসন (জিটুপি) পদ্ধতিতে ব্যাংক অথবা মোবাইল ব্যাংক থেকে উত্তোলনে একটি অভিন্ন ক্যাশ আউট চার্জের পরিমাণ নির্ধারণ করবে। কমিটি ক্যাশ আউট চার্জ বাবদ সরকার কর্তৃক প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ এবং তা পরিশোধের পদ্ধতি নির্ধারণ এবং ক্যাশ আউট চার্জ যথাযথভাবে বাস্তবায়নের বিষয়টি মনিটরিং করবে। সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিভিন্ন ধরনের ভাতা ও শিক্ষা-উপবৃত্তি পাচ্ছেন ৭৯ লাখ ২৫ হাজার দুস্থ ও অসহায় মানুষ। এর মধ্যে ৪৪ লাখ বয়স্ক মানুষ এবং ১৭ লাখ বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত নারীকে নিয়মিতভাবে জনপ্রতি মাসিক ৫০০ টাকা হারে ভাতা দেওয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে জনপ্রতি মাসিক ৭৫০ টাকা হারে ১৫ লাখ ৪৫ হাজার জন প্রতিবন্ধীকে প্রতিবন্ধী ভাতা এবং মাসিক ৭৫০ থেকে ১৩০০ টাকা হারে এক লাখ প্রতিবন্ধী শিশুকে দেওয়া হচ্ছে শিক্ষা-উপবৃত্তি। প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ছাত্রছাত্রীদের মাসিক যথাক্রমে ৭০০, ৮০০, ১০০০ ও ১৩০০ টাকা দেওয়া হয়।

বেসরকারি এতিমখানায় প্রতিপালিত এক লাখ এতিম শিশুও মাথাপিছু মাসিক দুই হাজার টাকা হারে ক্যাপিট্যাশন গ্রান্ট পাচ্ছে। এমনকি ৫০ হাজার বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর প্রবীণ ব্যক্তিদের ৫০০ টাকা হারে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ ভাতা। এ ছাড়া ৬০০ টাকা হারে ভাতা পাচ্ছেন ২৬০০ জন হিজড়া। বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর ২৫ হাজার ৯০০ জন শিশু এবং ১২৪৭ জন হিজড়া শিশুও পাচ্ছে সরকারে বিশেষ উপবৃত্তি।

সূত্র জানায়, সরকারে দেওয়া এই সহায়তা উত্তোলন করতে উপকারভোগীদের সমস্যায় পড়তে না হয়, সেদিকে নজর রাখবে। বিশেষ করে কমিটি ক্যাশ আউট চার্জ বাবদ সরকার কর্তৃক প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ এবং তা পরিশোধের পদ্ধতি নির্ধারণ এবং ক্যাশ আউট চার্জ যথাযথভাবে বাস্তবায়নের বিষয়টি মনিটরিং করবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close