নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

জনশুমারি নিখুঁত হতে হবে : পরিকল্পনামন্ত্রী

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, আগামী বছর যে জনশুমারি হবে, তা নিখুঁত হতে হবে। নিজের শরীর ঠিক রাখতে আমরা যেমন মাঝেমধ্যে স্বাস্থ্য চেকআপ করাতে যাই, তেমনি দেশের অবস্থা চেক করতে প্রতি ১০ বছর পরপর এই জনশুমারি পরিচালনা করা হয়। তাই মাথা গুনতির এ আয়োজন মানসম্মত হতে হবে। এ কাজে জেলা প্রশাসকদের সহায়তার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ঢাকা বিভাগের জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান। বক্তব্য দেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ও বিবিএসের মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম। মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক জাহিদুল হক সরদার।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মান বাড়িয়ে বিবিএসকে বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। শুমারিতে যারা গণনাকারী হিসেবে কাজ করবেন, তারা যেন কাজ শেষ হওয়ার পরপরই তাদের পারিশ্রমিক পেয়ে যান, সে ব্যবস্থা করতে হবে। তা ছাড়া প্রকল্পের কেনাকাটায় জেলা প্রশাসকেদের কোনো ভূমিকা রাখার সুযোগ থাকলে তা রাখতে হবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, এখন আর বিবিএসের তথ্য নিয়ে মানুষ হাসাহাসি করতে পারে না। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ অন্য সংস্থাগুলো বিবিএসের তথ্যের ওপর নির্ভর করে প্রতিবেদন তৈরি করছেন বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি (প্রবাসী) এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশিদেরও গণনা করবে সরকার। আগামী ২০২১ সালের শুরু হতে যাওয়া জনশুমারি ও গৃহগণনায় (আদম শুমারি) তাদের হিসাবের আওতায় আনা হবে।

পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী স্মরণীয় করে রাখতে বিবিএস ২০২১ সালের ১৭ মার্চ রাত ১২টা থেকে শুমারি মুহূর্ত ধরে পরবর্তী সাত দিন জনশুমারি ও গৃহগণনার জন্য মাঠপর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। বিদেশে অবস্থানরত প্রায় এক কোটির মতো প্রবাসীদের গণনার আওতায় আনা হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবস্থানকারী বিদেশিদেরও গণনা করা হবে। এসডিজি অভীষ্টের ১৬টি সূচকের তথ্য সরাসরি এবং ৯৭টি সূচকের ডিনোমিনেটর এই শুমারি থেকে পাওয়া যাবে। তা ছাড়া শুমারি পর্যন্ত আর্থ-সামাজিক ও জনতাত্ত্বিক জরিপের মাধ্যমে বিশদ তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে বলে জানান তিনি।

মূল প্রবন্ধে জনশুমারি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জাহিদুল হক সরদার বলেন, ১৯৭৪ সালে প্রথম আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত হয় আদমশুমারি। আগামী ২০২১ সালে হবে ষষ্ঠবারের মতো জনশুমারি ও গৃহগণনা। ২০১৩ সালের পরিসংখ্যান আইন অনুযায়ী একে এখন আর আদম শুমারি বলা হবে না।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close