অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ২০৩০-এর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আর মাত্র এক দশক বাকি আছে। আমরা আমাদের যুবসমাজ, পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য কাজ করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে পেয়েছিলাম একটি বাসযোগ্য সুন্দর পৃথিবী। এখন আমাদের তথা বিশ্বের মানুষের দায়িত্ব হচ্ছে আজ এবং আগামীর জন্য আরো সুন্দর, আরো স্বপ্নময় একটি সুন্দর পৃথিবী রেখে যাওয়া।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে গতকাল বুধবার তিন দিনব্যাপী বুসান ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ ফোরাম ২০১৯ ও কার্যকর উন্নয়ন সহায়তার লক্ষ্যে বৈশ্বিক অংশীদারত্ববিষয়ক ১৮তম স্টিয়ারিং কমিটির সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল কো-চেয়ার হিসেবে বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, সুন্দর পৃথিবী রেখে যাওয়ার কাজটি করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে যেসব দেশভিত্তিক সমস্যা রয়েছে, সেগুলো সমাধান করে প্রত্যেক দেশের নাগরিকদের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক খাতে অবকাঠামো উন্নয়নের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গঠন করতে হবে। এজন্য সব ধরনের সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের ভৌত ও অভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন ঘটাতে হবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে আশা ও বিশ্বাস জাগ্রত করতে হবে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক খাতে পিছিয়ে পড়া দেশগুলোর জন্য খাতওয়ারি চাহিদাভিত্তিক অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেক দেশের নিজস্ব যে সম্পদ আছে তা থেকে সুবিধা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অন্তরায় সৃষ্টি করা উচিত নয়। বাংলাদেশের সম্পদ হলো এর বিপুল কর্মঠ জনগোষ্ঠী। এ জনশক্তিকে দেশে-বিদেশে কাজের ব্যবস্থা করে দিতে হবে এবং সেক্ষেত্রে কোনো ধরনের বাধা দেওয়া যাবে না। নজর দিতে হবে কোনো দেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া অস্বাভাবিক সমস্যা সমাধানের দিকেও।

বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত হওয়া মিয়ানমার থেকে আগত এক মিলিয়নের মতো যে রোহিঙ্গা আছে, তাদের সমস্যার আশু সমাধান করার কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। পাশাপাশি তুরস্ক, জর্ডান ও ফিলিস্তিনের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, আমাদের উৎপাদিত পণ্য চলাচলে অহেতুক বাধা সৃষ্টি করা যাবে না।

"