নিজস্ব প্রতিবেদক
‘বস্ত্র খাতে রফতানি ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীতের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার’
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, বস্ত্র খাতের উন্নয়ন, সফলতা অর্জন ও এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করবে সরকার। এ ছাড়া এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতা প্রদান ও উদ্বুদ্ধ করাসহ উৎসাহিত করা হবে। ২০২১ সালের মধ্যে বস্ত্র খাতের রফতানি ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কাজ করছে সরকার।
গতকাল রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ইনটেক্স সাউথ এশিয়া’ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী খোকন, ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার শ্রী বিশ্বদীপ দে, বিকেএমইএ-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেমসহ বস্ত্র শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডাররা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, বস্ত্রশিল্প বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকা-ের একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। বর্তমান সরকার ভিশন-২০২১ অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে বস্ত্র খাতের রফতানি ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কাজ করছে। এ ধারাবাহিকতায় বস্ত্র খাতের সঠিক বিকাশ ও সুরক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার করণীয় নির্ধারণ করে বিভিন্ন বিষয় সুনির্দিষ্ট করে ‘বস্ত্রনীতি-২০১৭’ এবং ‘বস্ত্র আইন-২০১৮’ প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন, প্রদর্শক ও দর্শনার্থীদের সরাসরি সাক্ষাৎ এবং আলাপচারিতার এই সুযোগ শিল্প উদ্যোক্তা, ভোক্তা, আমদানিকারক, সরবরাহকারীদের মধ্যে একটি নতুন সম্পর্কের সেতুবন্ধ গড়ে তুলবে যা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এই প্রদর্শনী বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য বিদেশি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এ ধরনের প্রদর্শনীর মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার স্বার্থে অপার সম্ভাবনা বয়ে আনতে পারবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিযোগিতায় সক্ষম একটি বস্ত্র ও পাট খাত গড়ে তোলার ভিশন এবং বস্ত্র ও পাট খাতের অপার সম্ভাবনাকে পূর্ণরূপে কাজে লাগিয়ে উৎপাদনশীলতা, কর্মসংস্থান ও রফতানি বৃদ্ধির মিশন নিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
দেশের শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান ও রফতানি বৃদ্ধিসহ সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে বস্ত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমান সরকারের গৃহীত নীতিমালা ও পরিকল্পনাকে কাজে লাগিয়ে বস্ত্র খাতের রফতানি বাজার সম্প্রসারণ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, পরিবেশ রক্ষা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ, সুখী এবং উন্নত জাতিতে পরিণত করা এবং বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরো সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে এ মন্ত্রণালয় সফল হবে। ‘ইনটেক্স সাউথ এশিয়া’ কর্তৃক আয়োজিত প্রদর্শনী ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।
"