নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৪ অক্টোবর, ২০১৯

খেলাপিদের এককালীন এক্সিট সুবিধার সময়সীমা বাড়ল

মাত্র ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ৯ শতাংশ সুদ হারে ঋণ পুনঃতফসিলের (রিশিডিউলিং) সুবিধার সময়সীমা আবারও বাড়ানো হয়েছে। খেলাপিরা বিশেষ সুবিধায় ঋণ পুনঃতফসিলে আরো এক মাস সময় পাবেন। পুনঃতফসিলের জন্য ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত সময় পাবেন তারা। তবে এ সময় সুবিধাভোগীরা নতুন কোনো ঋণ নিতে পারবেন না। গতকাল বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সে সার্কুলারে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চলতি বছরের ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত এককালীন এক্সিটের বিশেষ এই সুবিধা পাবেন খেলাপিরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি থেকে মার্চ) সময়ে ব্যাংকগুলো ৫ হাজার ৮৩৯ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিল করেছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল থেকে জুন) পুনঃতফসিল করেছে ১৫ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে পুনঃতফসিলের মাধ্যমে খেলাপি ঋণ নিয়মিত করেছে তিন গুণেরও বেশি। বিশেষ সুবিধার সময় ছিল অক্টোবরের ২০ তারিখ পর্যন্ত।

সরকারের নির্দেশনায় চলতি বছরের ১৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে ঋণ পুনঃতফসিল ও এককালীন এক্সিট সংক্রান্ত বিশেষ নীতিমালা জারি করে। এতে মাত্র ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ৯ শতাংশ সরল সুদে এক বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ টানা ১০ বছর ঋণ পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হয়। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে নিন্দা ও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

স্বাধীনতার পর থেকে যারা ঋণখেলাপি তাদের এককালীন এক্সিট সুবিধা দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে তাদের খেলাপি ঋণের হিসাব হবে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বরের এককালীন হিসাবায়ন ভিত্তিতে। অর্থাৎ ১৯৭১ সালের পর থেকে ২০১৮ সালের ৩১ ডিমেম্বর পর্যন্ত যত খেলাপি ঋণ আছে তার হিসাব করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close