বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

  ১৫ জুলাই, ২০১৯

বেনাপোল দিয়ে আমদানি কমায় পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে গত ১০ দিনের ব্যবধানে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কমেছে প্রায় তিন গুণ। ফলে বেনাপোলসহ স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। এতে আমদানি ও সরবরাহ কমে যাওয়ায় পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। ফলে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। দাম বৃদ্ধির পেছনে ব্যবসায়ীদের কারসাজি থাকতে পারে বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মসলা হিসেবে পেঁয়াজের চাহিদা অনেক বেশি। দেশের অন্যান্য স্থানের মতো বেনাপোল, শার্শা, নাভারণ, বাগআঁচড়া ও গোগাসহ স্থানীয় বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ১৪ টাকায়। সেখান থেকে বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩২ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ ২২ টাকা থেকে বেড়ে ৪২ টাকায় পৌঁছেছে। স্থানীয় বাজারে দেশি ও বিদেশি পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় নাভিশ্বাস উঠেছে ক্রেতাদের। বিশেষত স্বল্প আয়ের মানুষ পড়ছেন বিপাকে। এজন্য দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন তারা। আবদুল হাই নামে এক ক্রেতা সাংবাদিকদের বলেন, ঈদুল ফিতরের সময় পেঁয়াজের দাম কম থাকলেও হঠাৎ করে বেড়ে গেছে দাম। ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকদের কারসাজিতে দাম বাড়ছে বলে জানান তিনি। এজন্য সরকারের বাজার মনিটরিংয়ের দাবি তাদের।

বন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভারত সরকার গত মাসে সে দেশের পেঁয়াজ রফতানিকারকের প্রণোদনা বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে বেনাপোল স্থলপথে পূর্বের এলসির পেঁয়াজ আমদানি সচল থাকে। তবে প্রতি টন পেঁয়াজ মান ভেদে ১২০ থেকে ২০০ মার্কিন ডলারে আমদানি করা হয়। এছাড়া চলতি মাস থেকে কমে যায় পেঁয়াজ আমদানি। ফলে দাম বেড়ে যায়। অবশ্য আমদানি ও সরবরাহ বাড়লে দাম কমার আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

সাজ্জাদ হোসেন ও আলী রায়হান নামে দুই বিক্রেতা জানান, বেনাপোলে তারা মোকাম থেকে যখন যে দামে কেনেন সে দামেই বিক্রি করেন। তবে শিগগিরই দাম কমে আসবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। বেনাপোল স্থলবন্দর পরিদর্শক নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, গত জুন মাসে শেষের ১০ দিনে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয় এক হাজার ৭৭০ টন। আর গত ৯ দিনে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ৪৫৯ টন। তবে ভোমরা হিলিসহ অন্য বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান বন্দর সংশ্লিষ্টরা।

ভোমরা বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক ফারুক হোসেন জানান, পেঁয়াজ আমদানি ও দাম স্বাভাবিক রয়েছে। দুই দিন আগেও দাম ছিল কম। এখন দাম বৃদ্ধি ব্যবসায়ীদের কারসাজি হতে পারে বলেও জানান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close