নিজস্ব প্রতিবেদক
গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের সঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি
শ্রমিকদের সন্তানের জন্য স্কুল বানানোর তাগিদ
তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক বলেছেন, সক্ষমতার জায়গায় আমরা দুর্বল হয়ে গেছি। কারণ আমাদের ভাবমূর্তির ঘাটতি আছে। এই জায়গায় আপনাদের সবার কাছে অনুরোধ করিÑ দয়া করে বিদেশে চিঠি লিখবেন না। আমাদের চিঠি লিখে জানান। আমরা জানার আগে বহু খবর বিদেশিরা জানে। দয়া করে এই কাজটি আপনারা করবেন না। একসঙ্গে আমাদের থাকতে হবে।
সম্প্রতি জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত শ্রমিকদের জন্য কেমন বাজেট চাই শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা দাম্ভিক অবস্থানে যাই বলেই বহু কিছু করতে পারি না। সরকার আমাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আমরাই সরকার। প্রধানমন্ত্রী ন্যূনতম মজুরি বাড়িয়েছেন কিন্তু আমরা দিতে পারছি না। আমরা নিজেদের মধ্যেই বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করছি। ক্ষুদ্র-ক্ষুদ্রভাবে ভালো কাজগুলোকে একসুতোয় আনতে হবে। সরকারের একার পক্ষে সবকিছু করা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।
রুবানা হক বলেন, শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য ফ্যাক্টরি এলাকায় স্কুল করা খুবই জরুরি। আপনারা সে বিষয়ে উদ্যোগী হন। এক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতাও প্রয়োজন। শ্রমিকের মানসিক অবস্থার দিকে নজর দিতে হবে মালিক পক্ষকেই। কারণ তারা শুধুমাত্র পেটের ক্ষুধার কারণে রাস্তায় নামেন।
তিনি বলেন, আপনারা যদি বিদেশে চিঠি দিয়েই থাকেন তবে দেশের ভালো কিছু লিখে চিঠি দেন। উনারা (বিদেশিরা) কীভাবে বড় বড় কথা বলে প্রতিনিয়ত আমাদের কম দাম দেন এবং নিয়মিত দিয়েই যাচ্ছেন। আপনারা ভালো কিছু লিখলে উনারা দাম কম দিতে পারবেন না। যদি কেউ আপনাদের বিরুদ্ধে অন্যায়-অত্যাচার করে তবে আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, আমি বিজিএমইএর সভাপতি, আমি আমার আপ্রাণ চেষ্টা করব যাতে আপনাদের বিরুদ্ধে কেউ অসদাচরণ না করতে পারে। বিদেশে যদি কিছু লিখতে হয় তবে অবশ্যই দেশের প্রশংসা করে চিঠি লিখবেন।
বাজেট নিয়ে তিনি বলেন, শুধুমাত্র বাজেটের আগে বললে বাজেটে অন্তর্ভুক্ত হবে তা নয়, এরপরও কাজ করা যায়। আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি আগামী বাজেটের আগে যদি আমি বেঁচে থাকি, যদি আগামী বছরের বাজেটে আমার প্রস্তাব দেওয়ার সুযোগ থাকে তাহলে আমি আপনাদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে বাজেট দেব।
আলোচনা সভায় প্রবীণ শ্রমিক নেতা মঞ্জুরুল হাসান খান, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার মো. গোলাম মোয়াজ্জেম, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
"