নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৮ এপ্রিল, ২০১৯

ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার

দেশের শেয়ারবাজার এখন ঊর্ধ্বমুখী। টানা কয়েক কার্যদিবস দরপতনের পর ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলোর ওপর ভর করেই শেয়ারবাজারে এ ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা। গতকাল বুধবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া সিংহভাগ ব্যাংকের শেয়ারের দাম বেড়েছে। ফলে বেড়েছে সব কটি মূল্যসূচক। তবে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) পতনের বৃত্ত থেকে এখনো বের হতে পারেনি।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে মূল্যসূচক ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও এদিন লেনদেনের শুরুটা ভালো ছিল না। লেনদেনের শুরুতেই মূল্যসূচকের বড় পতনের আভাস আসে। তবে দুপুর সাড়ে ১২টার পর লেনদেনে অংশ নেওয়া একের পর এক ব্যাংকের শেয়ার দাম বাড়তে থাকে, যার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে অন্য খাতের ওপর। ফলে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা পায় মূল্যসূচক।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ব্যাংক কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২০টির শেয়ার দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ছয়টির। সব মিলে বাজারটিতে ১৬০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১২৭টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৮টির দাম।

বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ১০ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২৫৯ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুটি সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৮০ পয়েন্টে এবং ডিএসই শরিয়া সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২১৭ পয়েন্টে অবস্থান করে।

মূল্যসূচকের এই উত্থানের পাশাপাশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩১৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ২৬৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৪৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে ওই দিন ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলসের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৬ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর পরই রয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকার। ১৬ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে এরপরই রয়েছে মুন্নু সিরামিক।

লেনদেনে এরপর রয়েছে ফরচুন সুজ, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, মুন্নু জুট স্টাফলার্স, এসকে ট্রিমস, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ এবং বিবিএস ক্যাবলস।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ১১ পয়েন্ট কমে ৯ হাজার ৭৩২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৩২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৩টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির।

বিনিয়োগকারীদের মানববন্ধন

টানা দরপতনের মধ্যে গতকাল বুধবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্যসূচক বাড়লেও পুঁজি হারানোর আতঙ্ক কাটেনি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। ফলে গত কয়েক কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় বুধবারও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও মানববন্ধন করেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। মানববন্ধন থেকে পুঁজিবাজারের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। দরপতনের প্রতিবাদে গত ৭ এপ্রিল থেকে বিনিয়োগকারীরা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে টানা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন। ২০১০ সালে মহাধসের পর এভাবে দিনের পর দিন বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। তবে ২০১১ সালের পর সাম্প্রতিক সময়ের মতো এমন দীর্ঘ সময় রাস্তায় নেমে বিনিয়োগকারীদের আর বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close