দেশের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত উৎপাদিত ৩৫ লাখ টন আলু বিদেশে রফতানির জন্য সরকার চিন্তা করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গত শনিবার ঢাকার একটি হোটেলে বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের ৪৬তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। আরো বক্তব্য দেন অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম সহসভাপতি ড. কামরুল হোসেন চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির পরিচালক মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে এখন প্রয়োজনের অতিরিক্ত ৩৫ লাখ টন আলু উৎপাদিত হচ্ছে। এ আলু কোল্ড স্টোরেজে সংরক্ষণ করা হলেও তার উপযুক্ত মূল্য পাচ্ছেন না কৃষক। আমাদের দেশে আলুর ব্যবহার সীমিত। ভাতের পরিবর্তে আলুর ব্যবহার বাড়ানো গেলে দেশ উপকৃত হতো।

বিশ্বের অনেক দেশে বাংলাদেশে উৎপাদিত আলুর চাহিদা আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, চাহিদার অতিরিক্ত উৎপাদিত আলু বিদেশে রফতানির ব্যবস্থা করা হবে। তবে বিশ্ববাজারের চাহিদার সঙ্গে মিল রেখে মানসম্পন্ন আলু উৎপাদন করতে হবে। সেজন্য বাংলাদেশে উৎপাদিত আলু বিশ্ববাজারে গ্রহণযোগ্য করে উৎপাদনের জন্য গবেষণা করা হবে। উৎপাদিত আলুর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।

বিভিন্ন ধরনের জটিলতায় রাশিয়াসহ বেশ কিছু দেশে আলু রফতানি করা যাচ্ছে না উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার অনেক সমস্যা চিহ্নিত করেছে। এগুলো সমাধানে কাজ করা হচ্ছে। বিক্রির অভাবে অনেক সময় আলু নষ্ট হয়ে যায়। এতে কৃষক ও কোল্ড স্টোরেজের মালিকও ক্ষতিগ্রস্ত হন। বিষয়গুলো মাথায় রেখে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। যেন আলু দেশের একটি মূল্যবান কৃষিপণ্যে পরিণত হয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে বলে জানান তিনি।

টিপু মুনশি বলেন, সরকার আলু উৎপাদন ও রফতানিতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছে। সংগত কারণে দিন দিন দেশে আলুর উৎপাদন বাড়ছে। কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির আওতায় চালের পাশাপাশি আলু দেওয়ার দাবি উঠেছে। সরকার উৎপাদিত আলু যেন নষ্ট না হয় এবং কৃষকরা যেন উপযুক্ত মূল্য পান, সে বিষয় মাথায় রেখেই সরকার কাজ করবে।

"