নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৪ মার্চ, ২০১৯

বিজিএমইএ সভাপতির দাবি

‘১১ হাজার নয়, চাকরিচ্যুত ৪ হাজার শ্রমিক’

মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ১১ হাজার শ্রমিক চাকরিচ্যুতির বিষয়টি ‘অসত্য’ বলে দাবি করেছে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। তবে ওই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ৪ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়টি স্বীকার করছেন সংগঠনের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।

গতকাল রোববার দুপুরে বিজিএমইএ ভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলারের সঙ্গে পোশাক কারখানার মালিকদের এক সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়। এসময় রাষ্ট্রদূত শ্রমিক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ১১ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের বিষয়টি জানতে চান। তখন সিদ্দিকুর রহমান এ তথ্য জানান।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘বিভিন্নভাবে ১১ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা বলা হচ্ছে। আমাদের সেল ও গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে আমরা খবর নিয়েছি। এ ধরনের কোনো তথ্য কারো কাছে নেই। তবে সর্বশেষ শ্রমিক অসন্তোষের পর ৪ হাজার শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছে। তাদের কাউকে এখনো পুনর্বহাল করা হয়নি।’

কথায় কথায় শ্রমিকদের ছাঁটাই করা হচ্ছে শ্রমিক সংগঠনগুলোর এমন অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করেন বিজিএমইএ সভাপতি। তিনি বলেন, ‘নোটিস ঝুলিয়ে হঠাৎ কারখানার কোনো শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা যাবে না। এ বিষয়ে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে সম্প্রতি একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।’ সাক্ষাৎকালে আলোচনার বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘আমরা জিএসপি সুবিধা পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছি। কারণ জিএসপির বিষয়ে তারা ১৬টি শর্ত দিয়েছিল। এর মধ্যে ১৫টি বাস্তবায়ন করেছি। তাই এ সুবিধা ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।’

তিনি বলেন, ‘কটন আমদানির বিষয়ে আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। বর্তমানে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কটন আমদানি করে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্র থেকে কটন আমদানি, প্রক্রিয়াজাত, রফতানি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে কটন মিল করলে কি সুবিধা আমরা পাবো তা নিয়েও আলোচনা হয়। তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরে বিষয়টি জানানো হবে। তবে আমাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে একটি লিখিত প্রস্তাবও আমরা তাদের দেবো।’

রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর অনেক কারখানার পরিবেশ উন্নতি হয়েছে বলে জানান সিদ্দিকুর। তিনি বলেন, ‘তবে গত দুই বছর এ বিষয়ে কোনো মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। নতুন মন্ত্রী দায়িত্ব নিয়েছেন আশা করছি তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close