নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

বৈদেশিক অর্থছাড় বেড়েছে ১০ শতাংশ, বাড়বে আরো

চলতি অর্থবছরের (২০১৮-১৯) প্রথম ছয় মাসে (জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত) বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থা মিলে বাংলাদেশের অনুকূলে ২৮৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড় করেছে। যদিও সরকার বিদেশি সহায়তা ছাড়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৭১৭ কোটি ডলার। প্রথম ছয় মাসে বৈদেশিক সহায়তার এ ছাড় গত অর্থবছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি। অর্থের হিসাবে যা ২৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার। ইআরডি সচিবের মতে, প্রতি বছর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বরাদ্দ ও বৈদেশিক সহায়তার অর্থছাড়ের লক্ষ্যমাত্রাও বাড়ছে। তাই প্রতি বছর অর্থছাড় বাড়বে।

২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে দাতাদের কাছ থেকে ২৬১ কোটি ৭০ লাখ ডলার ছাড় হয়েছিল। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন সক্ষমতা দিন দিন বাড়ছে। আবার প্রতি বছর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বরাদ্দ ও বৈদেশিক সহায়তার অর্থছাড়ের লক্ষ্যমাত্রাও বাড়ছে। তাই প্রতি বছর অর্থছাড় বাড়বে।’

অর্থবছরের শেষদিকে অর্থছাড় আরো বাড়ার আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘দেশে এখন অনেকগুলো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন চলমান। এসব প্রকল্পের কাজও বেশ দ্রুত এগোচ্ছে।’

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, ডিসেম্বর পর্যন্ত উন্নয়ন সহযোগীরা ঋণ হিসেবে ছাড় করেছে ২৭৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার। আর অনুদান হিসেবে ছাড় হয়েছে ১৫ কোটি ডলার। অর্থবছরের ছয় মাসে সরকার দাতাদের পুঞ্জীভূত পাওনা থেকে ৭৪ কোটি ৭৬ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে। এর মধ্যে আসল হিসেবে পরিশোধ করা হয়েছে ৫৬ কোটি ৯৬ লাখ ডলার আর সুদ হিসেবে পরিশোধ করা হয়েছে ১৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ২৬১ কোটি ৭০ লাখ ডলার ছাড় হয়েছিল। এর মধ্যে ঋণের পরিমাণ ছিল ২৪১ কোটি ৭০ লাখ ডলার। আর অনুদান হিসেবে ছাড় হয়েছিল ২০ কোটি ডলার।

প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে নিট অর্থছাড় বেড়েছে ১০ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে নিট অর্থছাড় হয়েছে ২৩১ কোটি ৫৪ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের এ সময়ে নিট অর্থছাড়ের পরিমাণ ছিল ২০৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার।

ইআরডির কর্মকর্তারা জানান, গত অর্থবছরে ছয় বিলিয়ন ডলারের বেশি ছাড় করেছে উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থাগুলো। চলতি অর্থবছরও মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, মেট্রোরেল, পদ্মা রেল সংযোগ, কর্ণফুলী টানেল এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ অনেকগুলো মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়ন চলছে। তাই এবার গত বছরের চেয়ে বেশি বৈদেশিক অর্থছাড় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close