নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৪ জানুয়ারি, ২০১৯

শিগগিরই নীতিমালা অনুযায়ী স্বর্ণ আমদানি

নীতিমালা অনুযায়ী শিগগিরই শুরু হবে স্বর্ণ আমদানি। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সরকারকে ভরিপ্রতি ১ হাজার টাকা দিয়ে অবৈধ স্বর্ণ বৈধ করার সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত স্বর্ণ নিলামের উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে এ নীতিমালায়।

সূত্র জানায়, স্বর্ণ আমদানির জন্য যাচাই কর্তৃপক্ষ গঠন, বাংলাদেশ ব্যাংকে স্বর্ণের তথ্যভা-ার গড়ে তোলা, আমদানির পর বাজারে স্বর্ণ কতটুকু মজুদ আছে, কতটা বিক্রি হয়েছে, সেসব তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে সংরক্ষণ করার তাগিদ দেওয়া হয়। এছাড়া আমদানির ক্ষেত্রে আমদানিকারককে ভরিপ্রতি শুল্ক দিতে হবে ২ হাজার টাকা। ভ্যাটের হার ধরা হয়েছে পাঁচ শতাংশ। ব্যাগেজ রুলের আওতায় শুল্ক আগের মতোই রাখা হয়েছে। প্রসঙ্গত, দেশে বছরে স্বর্ণের চাহিদা ৩০ থেকে ৪০ টন। অথচ দেশে বৈধপথে স্বর্ণ একেবারেই আমদানি হয় না। ফলে অবৈধপথে আনা স্বর্ণ দিয়েই এই চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, শিগগিরই নীতিমালা অনুযায়ী স্বর্ণ আমদানি শুরু হবে। এই লক্ষ্যে এরই মধ্যে স্বর্ণ নীতিমালার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। নীতমালা হওয়ার পরও ব্যাপক প্রচারণা না থাকায় ব্যবসায়ীরা এখনো এ বিষয়ে জানে না। ফলে স্বর্ণ আমদানিতে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ কম। এজন্য স্বর্ণ মেলার আয়োজন করা হবে।

এছাড়া স্বর্ণ আমদানি করতে প্রথমে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে স্বর্ণ যাচাই কর্তৃপক্ষ গঠন করতে হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকে স্বর্ণের তথ্য ভা-ার গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে কয়েক মণ স্বর্ণ থাকলেও এর অধিকাংশের বিষয়ে আদালতে মামলা রয়েছে। এ কারণে গত ১০ বছর ধরে স্বর্ণের নিলাম হয় না। মামলার নিষ্পত্তি হলে সেগুলো সরকারের সম্পদ হয়। যেগুলোর মামলা শেষ হয়েছে, সেগুলো নিয়ে শিগগিরই নিলাম ডাকা হতে পারে। তবে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা চোরাইপথে আসা স্বর্ণতেই বেশি লাভ করতে পারে হয়তো সে কারণেই তাদের বৈধপথে আমদানিতে আগ্রহ দেখায় না।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সভাপতি দীলিপ কুমার আগরওয়ালা জানান, স্বর্ণ নীতিমালা নিয়ে এখনো অনেক ব্যবসায়ী ভালোভাবে জানে না। এজন্য শিগগিরই আমরা দেশে একটি স্বর্ণ মেলা করব। সেখানে সরকারকে ট্যাক্স দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। সরকার স্বর্ণ খাতের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতি বছর ভ্যাট-ট্যাক্স নিলেও এত দিন ধরে স্বর্ণের বৈধ উৎস ছিল না। এখন আমরা বৈধ স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছি। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত স্বর্ণ নিলামেরও উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত স্বর্ণের মধ্যে মাত্র ১০ কেজি স্বর্ণ নিলামে তোলার সুযোগ আছে।

তবে গত ১০ বছর ধরে নিলাম না হওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে স্বর্ণের স্তূপ জমে গেছে। সর্বশেষ নিলাম হয় ২০০৮ সালের ২৩ জুলাই। যেখানে ২১ কেজি ৮২২ গ্রাম স্বর্ণ বিক্রি করা হয়। ধরা পড়া স্বর্ণের বেশির ভাগই আন্তর্জাতিক মানসম্মত হওয়ায় তা বাইরে বিক্রির প্রয়োজন হয়নি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close