নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮

‘এ বছর রফতানি ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে’

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশের রফতানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বিগত চার মাসে রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং সেবা খাতের রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে দেশের কোট রফতানির পরিমাণ ছিল ৪১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশের চলমান রফতানি অব্যাহত থাকলে এ বছর মোট রফতানির পরিমাণ ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

গতকাল বাণিজ্যমন্ত্রী ঢাকার কারওয়ানবাজারে টিসিবি অডিটরিয়ামে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত ২০১৬ সালে পণ্য রফতানির জন্য ১৩৭ জন রফতানিকারক এবং ৪১ জন ব্যবসায়ী সংগঠককে সিআইপি (রফতানি) ও সিআইপি (ট্রেড) কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান বাণিজ্য বান্ধব সরকারের আন্তরিক সহযোগিতায় দেশের রফতানি বাণিজ্য দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে দেশের পণ্য রফতানির পরিমাণ ছিল ১৪.১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিগত ১০ বছরে সে রফতানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬.৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। ২০২১ সালে দেশের রফতানি ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরকার রফতানি পণ্য ও বাজার সম্প্রসারণের কাজ করে যাচ্ছে।

সে কারনেই দেশের রফতানি বাড়ছে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এখন ৭.৮৬ ভাগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনের কাজ শেষ হলে দেশে অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি আয় বাড়বে। বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন বিশ^বাসীর কাছে বিশ^য়কর। দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছেলে-মেয়েদের ঝড়ে পরার হার ৪৫ ভাগ থেকে ১৮ ভাগে নেমে এসেছে। স্বাক্ষরতার হার ৯৪ ভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে। বেকারত্বের হার ৪.২ ভাগে নেমে এসেছে। দারিদ্রের হার ৩১.৫ভাগ থেকে ২১.৮ ভাগে নেমে এসেছে। নারীর কর্মসংস্থান ১৬.২ মিলিয়ন থেকে ২২ মিলিয়নে উত্তীর্ণ হয়েছে। বিদ্যু উৎপাদন ৪৯৪২ মেগাওয়াট থেকে ২০১৩৩ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে, ২০২১ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে ২৪০০০ মেগাওয়াট। পদ্মা সেতু,মেট্রোরেলসহ দেশের বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প এখন মানুষের কাছে দৃশ্যমান।

বাণিজ্যমন্ত্রী রপ্তানি কারকদের উদ্দেশ্যে বলেন, রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য বর্তমান সরকার সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যা”েছ। আপনারা এগুলো গ্রহণ করে দেশের রপ্তানি আরো বৃদ্ধি করুণ। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। ২০২৪ সালে পুরোপুরি উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হবে। তখন এলডিসিভুক্ত দেশের বাণিজ্য সুবিধা আর বাংলাদেশ পাবে না। প্রতিযোগিতা করে বিশ^ বাণিজ্যে টিকেত থাকতে হবে। সেজন্য এখন থেকেই প্রস্তত হতে হবে। ####

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close