নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৮

রিটার্ন দাখিলের শেষ দিনে ছিল করদাতাদের উপচে পড়া ভিড়

কোম্পানি ব্যতীত অন্য সব করদাতার জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরের আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন ছিল ২ ডিসেম্বর রোববার। নির্ধারিত শেষ সময় ৩০ নভেম্বর হলেও করদাতাদের সুবিধার্থে রিটার্ন দাখিলের সময় দুই দিন বাড়ানো হয়।

গতকাল আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিনে অনেকটা করবান্ধব পরিবেশে উৎসবের আমেজে রিটার্ন জমা নেওয়া হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত আয়কর সেবার শেষ দিনে রাজধানীর করাঞ্চলগুলোতে গত দিনগুলোর তুলনায় কারদাতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

চলতি বছরে করদাতাদের সেবা দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ২২ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেলার পরিবেশে কর সেবা দিয়ে যাচ্ছে। গতকাল রোববার আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ দিন হওয়ায় করদাতাদের বাড়তি ভিড় দেখা গেছে।

এ বিষয়ে এনবিআর সদস্য কালিপদ হালদার (আন্তর্জাতিক কর) বলেন, এরই মধ্যে এ বছর ইটিআইএনধারীদের সংখ্যা ৩৮ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। ২০১৪ সালে এর সংখ্যা ছিল ১২ লাখ। অর্থাৎ মাত্র চার বছরে করদাতা বেড়েছে তিন গুণের বেশি। অন্যদিকে প্রকৃত কর আদায় ১০ বছরে পাঁচ গুণ বেড়েছে। আমাদের লক্ষ্য করদাতা ১ কোটিতে উন্নীত করা।

তিনি বলেন, করদাতাদের মধ্যে আয়কর প্রদান নিয়ে আগে নেতিবাচক মনোভাব থাকলেও গত কয়েক বছরে আয়কর দিবস, আয়কর মেলাসহ বিভিন্ন আয়োজনে করদাতাদের মধ্যে আস্থা ফিরেছে। করভীতি নিয়ে যেসব নেতিবাচক প্রবাদ রয়েছে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি বলে মনে করি। অন্যদিকে, এনবিআরের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু’মেন বলেন, রিটার্ন দাখিলের সময় আর বাড়বে না।

জানা যায়, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রিটার্ন দাখিল না করলে জরিমানা ও বিলম্ব সুদ আরোপযোগ্য হবে। রিটার্ন দাখিলে আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে এমন কেউ রিটার্ন দাখিলে ব্যর্থ হলে কর আইন ভঙ্গ হবে।

১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশ ১২৪ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো করদাতা যদি কোনো কারণ ছাড়াই নির্দিষ্ট সময়ে রিটার্ন দাখিল না করেন আবার এজন্য অনুমোদনও না নেন, সেজন্য তার পূর্ববর্তী বছর প্রদেয় করের ১০ শতাংশ বা ১ হাজার টাকার মধ্যে যেটি বড় অংকÑ ওই পরিমাণ অর্থ জরিমানা হবে। সেই সঙ্গে যত দিন দেরি হবে, প্রতিদিনের জন্য ৫০ টাকা হারে বাড়তি জারিমানা গুনতে হবে। এমনকি এক বছর পর্যন্ত জেল অথবা অর্থদন্ড অথবা উভয় শাস্তির বিধান রয়েছে। এনবিআরের সর্বশেষ হিসেবে, ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (ই-টিআইএন) করদাতার সংখ্যা ৩৮ লাখ ছাড়িয়েছে গেছে। দেশে ই-টিআইএনধারীদের সবাই কর দেন না। মূলত যারা রিটার্ন জমা দেন তাদেরই করদাতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই সংখ্যা বর্তমানে ২০ লাখের মতো।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close