ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ২৮ নভেম্বর, ২০১৮

‘মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে সুপারক্রিট সেতু ভূমিকা রাখবে’

গিলাতলী খালে লাফার্জ হোলসিমের ‘সুপারক্রিট সেতুর’ উদ্বোধন

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার গিলাতলী খালে ব্রীজ নির্মাণ করেছে লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড। গতকাল ব্রীজটি উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহি চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেনে হোলেনস্টেইন। এখানকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে এই ব্রীজ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের সিমেন্ট ব্র্যান্ড সুপারক্রিটের নামে ব্রীজটির নামকরণ করা হয়েছে ‘সুপারক্রিট সেতু’।

করাপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে নির্মিত এই ব্রীজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ক্রিস্টফ হ্যাসিগ, প্রধান নির্বাহি রাজেশ সুরানা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিরেক্টর ই আর কিম, লিগ্যাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স ডিরেক্টর কাজী মিজানুর রহমান, মার্কেটিং অ্যান্ড কমার্শিয়াল ট্রান্সফরমেশন ডিরেক্টর আসিফ ভূইয়া।

রাজেশ সুরানা বলেন, শুরু থেকেই লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ সবসময়ই স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়নের জন্য নানাবিধ কাজ করে আসছে। এই ব্রীজ নির্মাণের ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণের দীর্ঘদিনের কষ্ট দূর হলো।

স্থানীয় জনসাধারনের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই খালটিতে সারা বছরই পানি থাকে। কখনও হাটু পানি, কখনও কোমর পানি পার হয়েই নিত্যদিনের কাজ সারতে হয় এলাকাবাসীর। সবচেয়ে কষ্ট ভোগ করতে হতো এখানকার শিক্ষার্থীদের। খাল পার হয়ে ভেজা কাপড়েই তাদের যেতে হতো স্কুলে। বর্ষাকালে অবস্থা হয় আরো করুণ। তখন কলাগাছের তৈরি ভেলাই হয়ে ওঠে একমাত্র ভরসা। অত্যন্ত খর¯্রােতা হওয়ায় এর ঝুঁকিও বেশি। এ অবস্থায় এই ব্রীজ আশীর্বাদ হয়ে এসেছে এলাকার মানুষের জন্য।

কোম্পানির নিজস্ব প্রযুক্তি ও কারিগরী সহযোগিতায় তৈরি ৩২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫ মিটার প্রশস্থ অত্যন্ত দৃষ্টি নন্দন এই ব্রীজের মাধ্যমে এলাকাবাসীর সাথে কোম্পানির সম্পর্ক আরো দৃঢ় হলো বলেই মনে করছেন কোম্পানির প্রধান নির্বাহি রাজেশ সুরানা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে বিডা’র নির্বাহি চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম বলেন, এমন প্রত্যন্ত এলাকায় ব্রীজ নির্মাণ করে লাফার্জহোলসিম জনসাধারনের যে উপকার করেছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার। যে জায়গাটাতে ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে তার দুরত্ব ছাতকে অবস্থিত লাফার্জহোলসিম প্ল্যান্ট থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার। এমন নয় যে এই ব্রীজ তাদের প্রয়োজন ছিল। এটা সত্যিই শুধুমাত্র এই এলাকার মানুষের জন্য। এখানকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে এই ব্রীজ ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করি।

গিলাতলী খাল সংলগ্ন এলাকাকে অত্যন্ত সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন উল্লেখ করে বিশেষ অতিথি’র বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেনে হোলেনস্টেইন বলেন, সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। বাংলাদেশে সামগ্রিক উন্নয়নে অংশীদার হতে চায় সুইজারল্যান্ড। লাফার্জহোলসিম আজ যে ব্রীজটি এই এলাকার সকলের জন্য নির্মাণ করলো তা জনসাধারনের সমস্যার যেমন সমাধান করবে সেই সাথে তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ক্রিস্টফ হ্যাসিগ বলেন, লাফার্জহোলসিম নির্মাণ খাতে বিশে^র শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি এবং এই কোম্পানি টেকসই উন্নয়নে বদ্ধপরিকর। পৃথিবীর সব দেশেই নিজস্ব প্ল্যান্টের পাশর্^বর্তী এলাকার জনগণের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে বিশ^াস করে লাফার্জহোলসিম।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close