নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২১ নভেম্বর, ২০১৮

আগামী ২২-৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মেলার সুবিধা কর অফিসে

করদাতাদের সুবিধার্থে আয়কর মেলা শেষ হলেও ২২ থেকে ৩০ নভেম্বর সব কর অফিসে মেলার পরিবেশে কর সেবা দেওয়া হবে। ফলে ওই ৯ দিন করদাতারা আয়কর বিবরণী জমাসহ করের যেকোনো সেবা পাবে মেলার মতোই। বিষয়টি নিশ্চিত করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এবারের মেলায় রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। কর অঞ্চল ও সার্কেল অফিসেও করদাতারা একই পরিবেশে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। তাছাড়া রিটার্ন জমা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর গাফিলতি সহ্য করা হবে না বলে সতর্ক করে দেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, আয়কর সপ্তাহ একটি সৃজনশীল উদ্যোগ। এবারও সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অতীতের প্রবণতা বজায় থাকবে। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আয়কর বিবরণী জমা দেওয়া যাবে।

এদিকে অনলাইন আয়কর রিটার্ন দাখিল ও ই-পেমেন্টে মিলছে বেশ সাড়া। আয়কর মেলায় সারা দেশে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন ৩ হাজার ৭৭০ জন করদাতা এবং ই-পেমেন্টের মাধ্যমে ১ হাজার ১৬০ জন করদাতা ১ কোটি ৪৮ হাজার ৬৮৫ টাকা আয়কর প্রদান করেছেন। সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলায় মোট আয়কর আদায় হয় ২ হাজার ৪৬৮ কোটি ৯৪ লাখ ৪০ হাজার ৮৯৫ টাকা। যা ২০১৭ সালের তুলনায় ১১ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি। মেলায় কর সেবা নেন ১৬ লাখ ৩৬ হাজার ২৬৬ জন, রিটার্ন দাখিল করেন ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৫৭৩ জন এবং ইটিআইএন নেন ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। এ ক্ষেত্রে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। মেলার সপ্তম দিনে ৫৭৯ কোটি ৫৫ লাখ ২৪ হাজার ৭৯২ টাকা, ষষ্ঠ দিনে ৩৪১ কোটি ২৯ লাখ ৪৭৬ হাজার টাকা, পঞ্চম দিনে ২৯০ কোটি ৫২ লাখ ৯৩ হাজার ৭০৮ টাকা, চতুর্থ দিনে ২৫৩ কোটি ১৫ লাখ ৮১ হাজার ৫৪০ টাকা, তৃতীয় দিনে ২৪৪ কোটি ৮২ লাখ ২৬৯ হাজার ৮৩৩ টাকা, দ্বিতীয় দিনে ৫৫১ কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার ৩৯৮ টাকা এবং প্রথম দিনে ২১৮ কোটি ৪২ লাখ ৭৭ হাজার ৪৮ টাকা আয়কর আদায় হয়। ২০১০ সাল থেকে শুরু হওয়া আয়কর মেলার পরিধি এবং মেলার মাধ্যমে আয়কর বিভাগের সেবার পরিসর উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৩-১৯ নভেম্বর রাজধানী ঢাকাসহ সব বিভাগীয় শহরে সাত দিন, ৫৬টি জেলা শহরে চার দিন, ৩২টি উপজেলায় দুই দিন এবং ৭০টি উপজেলায় এক দিনব্যাপী আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় করদাতাদের সুবিধার্থে ৪৩টি আয়কর রিটার্ন বুথ, ৩১টি হেল্প ডেস্ক, ব্যাংক বুথ (সোনালী ব্যাংক ১৩টি, জনতা ব্যাংক ৫টি এবং বেসিক ব্যাংক ৩টি), ই-পেমেন্টের জন্য তিনটি, ই-ফাইলিংয়ের জন্য দুটি পৃথক বুথ ছিল। এ ছাড়া মেলায় আগত করদাতাদের তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য একটি মেডিকেল বুথের ব্যবস্থা ছিল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close