নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৪ নভেম্বর, ২০১৮

‘পুঁজিবাজার শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে গেছে’

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আগামী নির্বাচন সামনে রেখে দেশের পুঁজিবাজার বা অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার কোনো সুযোগ নেই। পুঁজিবাজার এখন একটি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে, এটা নিজস্ব গতিতে চলবে। এ ছাড়া সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, এটা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেন তিনি। গতকাল সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর নিজ দফতরে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক বিও অ্যাকাউন্ট মেইনটেন্যান্স ফি বাবদ প্রাপ্ত ৫৭ কোটি ৫৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার সরকারি অংশের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। বিএসইসি চেয়ারম্যান খায়রুল হক অর্থমন্ত্রীর হাতে চেক হস্তান্ত করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন ক্ষমতায় আসি তার কিছুদিন পর ২০১১ সালে পুঁজিবাজার বেশ খারাপ দেখা দেয়। এরপর শুরু হয় পুঁজিবাজার সংস্কারের কাজ। গত ৮ বছরে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন বিধিবিধানে ব্যাপক পরিবর্তন করা হয়েছে। পুঁজিবাজার এখন একটি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে, এটা নিজস্ব গতিতে চলবে।’

গত দশ বছরে তার (অর্থমন্ত্রীর) দায়িত্বকে আউটস্ট্যান্ডিং হিসাবে মূল্যায়ন করে তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে কিছু অসুবিধা আছে। এ বিষয়ে একটি রোডম্যাপ দেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে বিএসইসি চেয়ারম্যান খায়রুল হক বলেন, পুঁজিবাজার এখন স্থিতিশীল। নির্বাচন নিয়ে মেজর নেগেটিভ ইন্ডিকেশন নাই।

পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, এবার ভালো খবর হচ্ছে সব দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এবার আর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ নেই।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার কোনো ইচ্ছা নেই। আমার আসন থেকে আমার ভাই নির্বাচন করবে। তবে রাজনৈতিক নেতাদের একটা বিষয় বুঝা উচিত যে অবসরের যাওয়ার জন্য ৮৫ বছর যথেষ্ট। এ বয়সে অবসরের যাওয়া উচিত। আর আমার এখন উত্তম সময়।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে রাজনীতিবিদরা সহসায় অবসরে যেতে চান না। আমাদের দেশে আমার চেয়েও অনেক বয়স্ক লোক এখনো রাজনীতি করছেন। তবে একটা নির্দিষ্ট সময়ে অবসর নেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, আমি এবারও আমার দলে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছি। তবে এটা ডামি। আমি আর নির্বাচন করতে চাই না। এটা প্রধানমন্ত্রীকেও বলেছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close