শাহ্জাহান সাজু

  ০১ নভেম্বর, ২০১৮

অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক

৪৫ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা রাজস্ব আয় এনবিআরের

চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই- সেপ্টেম্ব) ৪৫ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে প্রথম তিন মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৭ হাজার ২৪৭ কোটি ৩ লাখ টাকা। সেই হিসেবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে প্রায় ১১ হাজার ৪৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। প্রতিষ্ঠানটি লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৭৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়েছে এবং গত অর্থবছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ২২ শতাংশ। প্রতিষ্ঠানটির ত্রৈমাসিক সভায় রাজস্ব আদায়ের এ চিত্র উপস্থাপন করা হয়েছে। এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আদায়ে সবচেয়ে বেশি সাফল্য দেখিয়েছে আয়কর ও ভ্রমণ কর খাত। এই খাতে সর্বাধিক ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। যদিও ঘাটতি থেকে বের হতে পারেনি এই খাত। এ খাতে মোট ঘাটতি ২ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা। আর সবচেয়ে কম আদায় হয়েছে মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) খাতে। এ খাতে প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক।

তিনটি খাত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আমদানি ও রফতানি শুল্কে প্রথম ৩ মাসে ১৯ হাজার ১৫০ কোটি ১৩ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এই খাতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৫ হাজার ১৪৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। ঘাটতি প্রায় ৪ হাজার ৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা। গত অর্থবছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ শতাংশ।

অন্যদিকে, ভ্যাট খাতে প্রথম প্রান্তিকে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২২ হাজার ৬৭৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এর বিপরীতে আদায় ১৭ হাজার ৫২৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এ খাতে ঘাটতি প্রায় ৫ হাজার ১৫১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, যা গত অর্থবছরের তুলনায় দশমিক ৮৭ শতাংশ কম। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক। তবে আয়কর ও ভ্রমণ কর খাতে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এখানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। যদিও ঘাটতি থেকে বের হতে পারেনি এ খাত। এ খাতে তিন মাসে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৫ হাজার ৪২০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এর বিপরীতে আদায় ১৩ হাজার ১৪৫ কোটি ১১ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রার ৮৫ দশমিক ২৪ শতাংশ রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আর মোট ঘাটতি ২ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা।

এ বিষয়ে এনবিআরের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু’মেন প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, ঐতিহাসিকভাবেই অর্থবছরের প্রথম দিকে রাজস্ব আদায় সাধারণত একটু কম হয়ে থাকে। তবে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি খারাপ নয়। আশা করছি, অর্থবছর শেষে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম হবে এনবিআর।

প্রসঙ্গত, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে এনবিআরকে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে ২ লাখ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা। যা জিডিপির ১১.৭ শতাংশ। এর মধ্যে সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে মূল্য সংযোজন করে (মূসক/ভ্যাট) ১ লাখ ১০ হাজার ৫৪৩ কোটি টাকা। আয়কর ও অন্যান্য প্রত্যক্ষ করে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ২০১ কোটি টাকা। অন্যদিকে, আমদানি-রফতানি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক, আবগারি শুল্ক এবং টার্নওভার ট্যাক্সে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে ৮৩ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close