নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২২ অক্টোবর, ২০১৮

তারল্য ফিরতে শুরু করেছে ব্যাংক খাতে

নগদ জমা সংরক্ষণের (ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও-সিআরআর) হার কমানোর ফলে ব্যাংক খাতে ফিরতে শুরু করেছে তারল্য। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ব্যাংক খাতে তারল্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) যার পরিমাণ ছিল ৭৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। সে হিসেবে দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ২০ হাজার ৬০০ কোটি টাকার তারল্য বেড়েছে ব্যাংক খাতে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে তারল্য সংকট গুরুতর আকার ধারণ করে। সেই সমস্যা সমাধানে ৪ এপ্রিল নগদ জমা সংরক্ষণের হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৫ শতাংশে কমিয়ে আনার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারই ফল হিসেবে চলতি বছরের ১ম প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে ২৭ শতাংশ তারল্য বেড়েছে ব্যাংক খাতের। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ব্যাংকগুলোর ভারসাম্যহীনতা লক্ষ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক; যা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়। ব্যাংকগুলোতে ভারসাম্য আনতে সিআরআর কমানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ১ শতাংশ হারে সিআরআর কমানোর ফলে টাকা আসে ব্যাংকগুলোর হাতে। এর ফলে গত ২ মাসে সামগ্রিক ব্যাংক খাতে ১ থেকে ২ শতাংশ হারে ঋণের বিপরীতে সুদহার কমতে শুরু করেছে। ঋণের বিপরীতে সুদহার এক অঙ্কে নিয়ে আসার শর্তে সিআরআর কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। বর্তমানে ১০ থেকে ১১ শতাংশ হারে সুদ গ্রহণ করছে বেশির ভাগ ব্যাংক। এক মাস আগেও এই সুদের হার ছিল ১৩ শতাংশের ওপরে।

রুপালি ব্যাংকের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে আমাদের ব্যাংকের সুদহার এক অঙ্কের ঘরে নেমে এসেছে তবে তা শুধু শিল্প ঋণের ক্ষেত্রে। ভোক্তা ঋণের ক্ষেত্রে এখনো ১৩ শতাংশ হারে ঋণ গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

প্রয়োজনের তুলনায় টাকার প্রবাহ বেশি থাকলে তাকে অতিরিক্ত তারল্য বলা হয়। সিআরআর কমানোর ফলে সেই ঘটনা ঘটেছে ব্যাংক খাতে।

জুন মাস শেষে অতিরিক্ত তারল্যের ৫৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা রয়েছে সরকারি ব্যাংকগুলোর কাছে। কিন্তু মার্চ মাসে এই টাকার পরিমাণ ছিল ৪২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। অতিরিক্ত তারল্যের ৫৫ শতাংশই রয়েছে সরকারি ব্যাংকগুলোতে।

অন্যদিকে, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর কাছে রয়েছে ৩১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। মার্চ প্রান্তিকে যার পরিমাণ ছিল ২১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। অতিরিক্ত তারল্যের ৪৭ দশমিক ৫৮ শতাংশ রয়েছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর কাছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close