নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

বর্তমান সরকার একটি কল্যাণমুখী সরকার : অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, সম্পদশালীদের জন্য নয় বরং গরিবদের কল্যাণে কাজ করতে হবে। এ দেশে এখন অনেকেই ধনী হয়ে গেছেন। তাদের জন্য খুব বেশি কিছু করার প্রয়োজন নেই। গরিবদের জন্য কিছু করতে হলে সবার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে । তাছাড়া বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার একটি কল্যাণমুখী সরকার। আর সরকারের কল্যাণমুখিতার জন্য অনেক বেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন হয় বলে জানান তিনি।

গত সোমবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘২০১৭ থেকে ২০১৯ অর্থবছরের জন্য আইএফসির বিনিয়োগ পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা বেগম। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইএফসির বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের কান্ট্রি ম্যানেজার ওয়েন্ডি ওয়ার্নার। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ এশিয় অঞ্চলের পরিচালক মেনগিসটো এলামায়িহু, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম।

অর্থমন্ত্রী বলেন, যে কোনো দেশের উন্নয়নে বিনিয়োগ খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর বিনিয়োগের জন্য তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সহজ শর্তে ঋণ। যেটা বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য সহযোগী সংস্থাগুলো ১৯৯৬ সালের পর থেকে করে আসছে। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বর্তমানে ভাল। এর ধারবাহিকতায় ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরো গভীর ও মধুর হবে। কেননা, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার একটি কল্যাণমুখী সরকার। আর সরকারের কল্যাণমুখিতার জন্য অনেক বেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন হয়। এটা আমাদের জন্য আনন্দের বিষয় যে, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সহায়তা দিন দিন বাড়াচ্ছে।

বিশ্বব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশনের (আইএফসি) পক্ষে জানানো হয় ২০১৮ সালের জুলাই পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর মধ্যে ৪৫ শতাংশ আর্থিক খাতে, অবকাঠামোতে ২৮ শতাংশ, কৃষি ব্যবসা ও উৎপাদনে ১৭ শতাংশ এবং টেলিকমে ১০ শতাংশ।

প্রতিষ্ঠানটি ১৯২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ৩০ মিলিয়ন মানুষকে আর্থিক সেবার আওতায় আনতে চায়। এসএমই খাতে ছয় লাখ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরি ও চার লাখ কৃষককে সেবার আওতায় আনার লক্ষ্য রয়েছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় গ্রিডে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের সরবরাহ, এক হাজার ঘনফুট গ্যাসের সরবরাহ এবং ৮ লাখ ৫০ হাজার সবুজ বাড়ি বা কারখানা তৈরির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এসব করতে আইএফসি উৎপাদনমুখী শিল্প ও এর লজিস্টিক সেবায় ৩ হাজার ৫৫০ মিলিয়ন ডলার এবং পরিবহন খাতে ১ হাজার ১৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

বিডার চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, বিশ্বব্যাংক আগামী দিনে বাংলাদেশের জন্য তাদের সহযোগিতা বাড়াবে, এটা আমাদের জন্য ভালো খবর। মনে রাখতে হবে, জনগণের উন্নয়নে সরকার প্রচুর বিনিয়োগ করছে। এমনকি বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্যও অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব পদক্ষেপকে ত্বরান্বিত করতে হলে, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর সহায়তা জরুরি বলে জানান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close