কোরবানির পশুর লবণযুক্ত চামড়া আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে কেনা শুরু করবে ট্যানারিগুলো। সরকার নির্ধারিত দামে আড়তদার ও ডিলারদের কাছ থেকে এ বছর এক কোটির ওপরে গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষের চামড়া সংগ্রহ করা হবে। এ কার্যক্রম চলবে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা জানায়, সারাদেশে ফড়িয়া ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ করে। পরে লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণ করেন আড়তদার ও ডিলাররা। এরপর লবণযুক্ত চামড়া কিনে নেন ট্যানারি মালিকেরা। তাদের মতে, এবার নির্বাচনী বছরের কারণে গতবারের তুলনায় ২০-৩০ লাখ পশু বেশি কোরবানি হয়েছে। সে হিসাবে কোটির ওপরে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করা হবে।

এ বিষয়ে ট্যানারি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী সপ্তাহ অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর থেকে ট্যানারির মালিকেরা লবণযুক্ত চামড়া সংগ্রহ শুরু করবেন। সরকার নির্ধারিত দামেই আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লবণযুক্ত চামড়া কেনা হবে। চামড়ার মান অনুযায়ী দাম দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

জানা যায়, প্রতিবছর কোরবানির ঈদের ১০-১৫ দিন পর কাঁচা লবণযুক্ত চামড়া সংগ্রহ করা হয়। তবে এবার নির্বাচনী বছরের কারণে গতবারের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ লাখ পশু বেশি কোরবানি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় দাম কমিয়ে কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্য পুনর্নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এবার ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম পাঁচ টাকা কমিয়ে ধরা হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা, ঢাকার বাইরে ৩৫-৪০ টাকা। গত বছর এ দাম ছিল ঢাকায় প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ৫০-৫৫ টাকা, ঢাকার বাইরে ৪০-৪৫ টাকা।

অপরদিকে, প্রতি বর্গফুট খাসির চামড়ার দাম সারাদেশে ১৮-২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গতবছর ছিল ২০-২২ টাকা। আর বকরির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩-১৫ টাকা। যা গত বছর ছিল ১৫-১৭ টাকা। তবে মহিষের চামড়ার দামের বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি।

"