চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। তবে কৃষিকাজ ছাড়াও পোলট্রি শিল্প, দুগ্ধ উৎপাদন, কৃত্রিম প্রজনন ও কৃষি যন্ত্রপাতি কিনতে এই ঋণ নেওয়া যাবে।

গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে চলতি অর্থবছরের কৃষি ও পল্লীঋণের বার্ষিক নীতিমালা ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান এই নীতিমালা ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক অশোক কুমার দে ও কৃষিঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মনোজ কান্তি বৈরাগীসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নীতিমালায় বলা হয়, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত অর্থবছরে তুলনায় ৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত বাংকগুলোর স্বনির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা এবং বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নেট ঋণ ও অগ্রিমের ২ শতাংশ হারে হিসাবায়ন করে এই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। কৃষি ও পল্লীঋণের এই লক্ষ্যমাত্রার ৫২ শতাংশ বিতরণ করবে বেসরকারি খাতের ব্যাংক, সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক বিতরণ করবে ৩০ শতাংশ, বিশেষায়িত ব্যাংক বিতরণ করবে ১৫ শতাংশ ও বিদেশি ব্যাংক বিতরণ করবে ৩ শতাংশ ঋণ। তাছাড়াও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বাইরে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক ২০ কোটি ও বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) ৭৮০ কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণ করবে।

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে লক্ষ্যমাত্রার ৬০ শতাংশ বিতরণ করতে হবে শস্যখাতে, ন্যূনতম ১০ শতাংশ মৎস্য খাতে এবং প্রাণিসম্পদ খাতে ১০ শতাংশ বিতরণ করতে হবে। এ ছাড়াও কৃষি যন্ত্রপাতি, দারিদ্র্য বিমোচন ও অন্যান্য খাতে বাকি অর্থ বিতরণ করতে হবে।

এদিকে, বিদায়ী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মোট ৩৯ লাখ ৬২ হাজার ৫০৮ জনের মাঝে কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো।

"