নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২২ জুলাই, ২০১৮

আসবাবপত্র রফতানি বেড়েছে ২০ শতাংশ

বাংলাদেশে তৈরি আসবাবপত্র ও গৃহস্থালি পণ্য দেশের বাইরে ক্রমান্বয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। গত এক দশক ধরে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে এর রফতানি আয়। এতে বিশ্ববাজারে এরই মধ্যে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশের আসবাবপত্র। তারই ধারাবাহিকতায় বিদায়ী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আসবাবপত্র রফতানি ২০ দশমিক ২৭ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ৬ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলারের আসবাবপত্র রফতানি হয়েছে। এর আগের ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রফতানির পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ২৫ লাখ ডলার।

দেশের আসবাব শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের দাবি গুণগতমান এবং যুগোপযোগী নকশায় আসবাবপত্র তৈরির ফলে বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের আসবাবপত্র প্রিয় হয়ে উঠছে। তাই নতুনত্ব আর আধুনিকতায় গত এক দশকে অনেক দূর এগিয়েছে বাংলাদেশের আসবাবপত্র শিল্প। বর্তমানে আরব বিশ্ব বা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে মূলত বাংলাদেশে তৈরি আসবাবপত্র রফতানি হচ্ছে।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য মতে, গত অর্থবছরে আসবাবপত্র রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ কোটি ১০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে রফতানি আয় হয়েছে ৬ কোটি ৩১ লাখ ডলারের। সেই হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২১ লাখ ডলার রফতানি আয় বেশি হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিত্যনতুন নকশা, মানসম্মত কাঠ আর কারিগরদের দক্ষতায় তৈরি করা বাংলাদেশের আসবাবপত্রের মান খুব ভালো। ফলে প্রতিযোগিতামূলক বৈশ্বিক বাজারে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারের বিপুল চাহিদা মেটাতেও সক্ষম হচ্ছে। ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ ও বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের জন্য গুনগতমান উন্নয়ন এবং ডিজাইনে প্রতিনিয়ত নতুনত্ব আনা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এ খাতের উদ্যোক্তরা বলছেন, আসবাবপত্র শিল্পের বিশ্ববাজারে বর্তমানে বাংলাদেশকে চীনের বিকল্প ভাবা হচ্ছে। কানাডা, চীন, ইতালি, জার্মানি ও মালয়েশিয়ার মতো বৃহৎ আসবাবপত্র রফতানিকারক দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশ এরই মধ্যে আসবাবপত্র প্রস্তুতকারক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist