নিজস্ব প্রতিবেদক
রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রকল্পের সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী
বিশ্ব বাণিজ্যে ভালো করতে হলে সুবিধা বৃদ্ধির বিকল্প নেই
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাণিজ্যে সফলতা অর্জন করতে হলে বাণিজ্য অবকাঠামো সুবিধা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় ব্যবসায়িক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে দ্রত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিশ্বব্যাপী এখন ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো অর্থাৎ অনলাইনে স্বল্প সময়ে এবং স্বল্প খরচে ব্যবসা-বাণিজ্য জনপ্রিয়। আমদানি-রফতানির কাজে ব্যবহৃত দেশের নৌ ও স্থলবন্দরগুলো আধুনিক করতে হবে। সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। যাতে যথাসময়ে প্রকল্পের সব কাজ সম্পন্ন করা যায়।
গতকাল বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রকল্প-১ (বিআরসিপি) এর আওতায় ন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট ফেসিলিটেশন কমিটির প্রথম সভায় সভাপতিত্ব করে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট ভূ-অবকাঠামো এবং পদ্ধতিগত পরিঅবকাঠামোর উন্নয়ন, নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে সমন্বয় এবং দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক সহায়তার মাধ্যমে অর্থনৈতিক ক্ষতায়ন এবং রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে সার্বিক সমন্বয়ে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রকল্প-১ (বিআরসিপি) গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এতে নিবিড়ভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ অংশের কাজ বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বাংলাদেশ সরকারের ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অংশে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৪.১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের ৬৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বাংলাদেশ সরকারের রয়েছে ৭.১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অংশে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৮.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বাংলাদেশ সরকারের ০.৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে।
সভায় কমিটির সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু, সড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, অর্থ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, রেলপথ বিভাগের সচিব মোফাজ্জেল হোসেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যামসুন্দর শিকদার, আইসিটি ডিভিশনের সচিব জুয়েনা আজিজ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, শিল্প মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এবং কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রকল্প বিষয়ে উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রকল্প পরিচালক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মুনীর চৌধুরী।
"