নিজস্ব প্রতিবেদক
ই-নথি ব্যবস্থাপনার শীর্ষে এনপিও
সরকারি প্রতিষ্ঠান ও দফতরের মধ্যে ই-নথি ব্যবস্থাপনায় শীর্ষস্থানে রয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও)। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ-টু-আই প্রকল্পের মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ১-১৫ জুন মেয়াদে দেশের ২০৩ সরকারি প্রতিষ্ঠান ও দফতরের মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে এনপিও। এ ছাড়া ৫৮ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে ই-নথি ব্যবস্থাপনায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। ধারাবাহিক মনিটরিং ও প্রণোদনার ফলে মন্ত্রণালয়ের ই-নথি ব্যবস্থাপনায় এ সাফল্য এসেছে। এতে মন্ত্রণালয়ের সেবাদান প্রক্রিয়ায় গতিশীলতা এবং কাজের পরিমাণ বেড়েছে। গতকাল শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, শিল্পমন্ত্রীর নির্দেশনায় সংশ্লিষ্ট অংশীজনকে দ্রুত ও জবাবদিহিমূলক সেবা দিতে কাজ করছে শিল্প মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে শিল্প সচিবের তত্ত্বাবধানে মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন সব প্রতিষ্ঠানকে ই-নথির আওতায় আনা হয়েছে। এর ফলে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য নামে অতীতে সেবাদানের ক্ষেত্রে যে দীর্ঘসূত্রতা ও হয়রানি ছিল এখন তা নেই। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে শিল্প মন্ত্রণালয় আরো গতিশীল ভূমিকা রাখবে বলে সভায় আশা প্রকাশ করা হয়। শিল্পমন্ত্রী বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিকে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একটি অঙ্গীকারনামা হিসেবে উল্লেখ করেন বলেন, এতে স্বাক্ষরের ফলে সংশ্লিষ্টরা নির্দিষ্ট কর্মসূচি বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। এর মাধ্যমে সবার মধ্যে দায়বদ্ধতা এবং আগামী এক বছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকান্ডে আশাতীত সাফল্য আসবে। পরে শিল্পমন্ত্রীর উপস্থিতিতে শিল্প সচিবের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিসিক, বিএসটিআই, বিসিআইসি, বিএসইসি, বিএসএফআইসি, বিআইএম, ডিপিডিটি, বিটাক, এনপিও, বিএবি, প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয় ও এসএমই ফাউন্ডেশনের প্রধানরা পৃথকভাবে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
"