নিজস্ব প্রতিবেদক
বৈদেশিক সহায়তার ৩ লাখ কোটি টাকা পাইপলাইনে
গত মার্চ মাস পর্যন্ত বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুত অর্থের পরিমাণ দ্াড়িয়েছে ৪ হাজার কোটি ডলার। যা স্থানীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৮০ টাকা ধরে) প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
প্রসঙ্গত, যখন কোনো দাতা দেশ বা সংস্থার সঙ্গে ঋণ বা অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় তখন তা পাইপলাইন হিসেবে জমা হয়। কিন্তু খরচ না হলে অর্থ ছাড় করে না দাতা দেশ বা সংস্থাগুলো।
এ বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, পাইপলাইন অর্থ জমা থাকাটা একটি স্বতঃসিদ্ধ ব্যাপার। কারণ পাইপলাইনে অর্থ না থাকলে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা তো সম্ভব হবে না। আর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য একবারেই ১১ বিলিয়ন ডলার এবং চীনের সঙ্গে পুরো প্রকল্পের টাকারই এক সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। এসব প্রকল্প তো বাস্তবায়ন হবে ৫ থেকে ৬ বছরে। তাছাড়া বৈদেশিক অর্থ ব্যয়ের অবস্থা এখন সবচেয়ে ভালো। চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে বৈদেশিক অর্থ ছাড় সরকারি তহবিলের অর্থ ব্যয়ের চেয়ে বেশি হয়েছে। গত ১০ মাসে বৈদেশিক অর্থছাড় হয়েছে ৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার, যা গত অর্থবছরের পুরো সময়জুড়েই ছাড় হয়েছিল ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের শুরুতে অর্থাৎ ২০১৭ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত পাইপলাইনে জমা ছিল ৩ হাজার ৫৭৪ কোটি ডলার। এছাড়া ঋণের স্থিতি (চলমান ঋণ) ছিল ২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ২ হাজার ৮৩৩ কোটি ডলার। এটি গত মার্চে এসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১১৮ কোটি মার্কিন ডলারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বৈদেশিক সহায়তা বরাদ্দ ছিল ৫৭ হাজার কোটি টাকা। তবে খরচ করতে না পারায় ৪ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা বাদ দিয়ে সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৫২ হাজার ৫০ কোটি টাকা। এছাড়া গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের এডিপিতে বৈদেশিক সহায়তা বরাদ্দ ছিল ৪০ হাজার কোটি টাকা। সেখান থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা ফেরত দেয় মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো। ফলে সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৩৩ হাজার কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বৈদেশিক সহায়তা বরাদ্দ ছিল ৩৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
"