নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২২ মে, ২০১৮

বীমা এজেন্ট কমিশনের উৎসে কর প্রত্যাহারের দাবি

বীমা শিল্প বিকাশে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে বীমা এজেন্ট কমিশনের বিপরীতে বিদ্যমান ১৫ শতাংশ উৎসে কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ)। একই সঙ্গে আগামী বাজেটে করপোরেট করহার কমানোসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল রাজধানীর পল্টনে বিআইএ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন এসব দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহসভাপতি ড. রুবিনা হামিদ, মনিরুল হক, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের পরিচালক মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, ডেল্টা লাইফের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলরূ প্রমুখ।

শেখ কবির হোসেন বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বীমার এজেন্ট কমিশনের ওপর ১৫ শতাংশ উৎসে কর আরোপ করেছে। এই করের কারণে বীমা খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই বীমা শিল্প বিকাশে অবিলম্বে এই এজেন্ট কমিশন কর বাতিল করা উচিত।

তিনি আরো বলেন, এজেন্টরা বীমা কোম্পানির কাছ থেকে যে কমিশন পেয়ে থাকে। ওই কমিশন হলো এজেন্টদের আয়। এই আয়ের ওপর তারা ৫ শতাংশ আয়কর দিয়ে থাকেন। ফলে তার আয়ের ওপর পুনরায় ১৫ শতাংশ এজেন্ট কর দিলে এটা দ্বৈতকর ধার্য করার শামিল। বিআইএ সভাপতি বলেন, বর্তমানে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সব কোম্পানি ২৫ শতাংশ হারে করপোরেট কর দিচ্ছে। অথচ বীমা কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও ৪০ শতাংশ করপোরেট কর দিতে হচ্ছে। তিনি বীমা শিল্প বিকাশে করপোরেট করহার যৌক্তিকভাবে কমানোর দাবি জানান।

শেখ কবির হোসেন বলেন, পুনঃবীমা প্রিমিয়ামের ওপর মূসক আরোপ যুক্তিসংগত নয়। বীমা কোম্পানিগুলো প্রিমিয়াম গ্রহণ করলেই গ্রাহকের কাছ থেকে ১৫ শতাংশ হারে মূসক নিয়ে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়। এই প্রিমিয়ামেরই একটি অংশ পুনঃবীমাকারীকে প্রদান করা হয়। তাই পুনঃবীমা প্রিমিয়ামের ওপর ভ্যাট আরোপের সুযোগ নেই বলে দাবি করে তিনি এটা বাতিল করার প্রস্তাব করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লাইফ ইন্স্যুরেন্স পলিসিহোল্ডারদের পলিসি বোনাসের ওপর ৫ শতাংশ গেইন ট্যাক্স প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলা হয়, প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় দেশের কমসংখ্যক মানুষ জীবন বীমার আওতায় রয়েছে। পলিসি বোনাসের ওপর গেইন ট্যাক্স আরোপ করা হলে বীমা সুবিধার আওতায় থাকা মানুষের সংখ্যা আরো কমে যাবে। প্রায় সব দেশই পরিশোধিত প্রিমিয়ামের অতিরিক্ত বীমা সুবিধাকে আয়করের আওতামুক্ত রাখে। আবার মুদ্রাস্ফীতির জন্য একজন পলিসি গ্রাহক যে প্রিমিয়াম দেয় তার চেয়ে অনেক কম টাকা মেয়াদপূর্তির সময় পায়। এ ট্যাক্স আরোপ হলে বীমাগ্রহীতা জীবন বীমা গ্রহণের চেয়ে অন্য ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে। এতে বীমা ব্যবসা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং জীবন বীমার প্রতি সাধারণ মানুষ আগ্রহ হারাবে।

বীমা কোম্পানি প্রিমিয়াম আয়ের ওপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট অঙ্কে ব্যবস্থাপনা ব্যয় হিসেবে খরচ করতে পারে। যদি এর বেশি হয় তবে বীমা আইন ২০১০-এর ১৩০ ধারা অনুসারে বীমা কোম্পানিকে জরিমানা করতে পারে অথবা অতিরিক্ত খরচ যদি হয় বীমা আইনের ৬৩ ধারা অনুযায়ী তা মওকুফ করতে পারবেন। বিষয়টি নিতান্তই বীমা নিয়ন্ত্রকের বিষয়। সুতরাং বীমা আইনের বিধানকে আয়কর নিরূপণের বিধান আইনের চোখে গ্রহণযোগ্য নয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist