নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২২ মার্চ, ২০১৮

‘বিশ্ব অর্থনীতির ৪০তম দেশ হবে বাংলাদেশ’

২০৩০ সালে ৩৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করব

পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘এ বছরই বিশ্ব অর্থনীতির ৪০তম দেশ হবে বাংলাদেশ। বর্তমানে আছে ৪৩তম অবস্থানে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা ২০৪১ সালে উন্নত দেশের কাতারে চলে যাব।’

গতকাল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাওয়া উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘গরিব দেশ হওয়ার যন্ত্রণা থেকে আমরা মুক্ত হয়েছি। স্বাধীনতার তিন বছরের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায় উঠেছিল বাংলাদেশ। সেখানে ৪৩ বছর পর আমরা উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেলাম। হয়তো আমাদের এখানে আসতে অন্য দেশের তুলনায় সময় বেশি লেগেছে। কিন্তু এখন আমরা দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন করব। কারণ আমাদের কর্মক্ষম জনসংখ্যা বেশি। ডেমোগ্রাফি ডিভিডেন্টে আমরা সব দেশ থেকে এগিয়ে। আমাদের মতো কর্মক্ষম জনবল কোনো দেশে নেই। যেটা আমরা ধরে রাখতে পারব ২০৬১ সাল পর্যন্ত।’

উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় স্থান করে নিতে মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকÑ এ তিনটির যেকোনো দুটি অর্জন করতে পারলেই স্বীকৃতি মেলে জানিয়ে মুস্তফা কামাল জানান, বাংলাদেশ জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলের মানদ-ে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে একটি দেশের মাথাপিছু আয় হতে হবে কমপক্ষে ১ হাজার ২৩০ ডলার। সেখানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ২৭১ ডলার। মানবসম্পদ সূচকে প্রয়োজন ৬৬ বা এর বেশি। বাংলাদেশ সেখানে অর্জন করেছে ৭২ দশমিক ৯। এ ছাড়া অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক হতে হবে ৩২ বা এর কম। সেখানে বাংলাদেশের আছে ২৪ দশমিক ৮ শতাংশ। এটা জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিপিডি) হিসাবে।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা ২০১০ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে ৫৮ ছিলাম। সেখান থেকে এখন আমরা ৪৩তম অবস্থানে রয়েছি। ২০২০ সালে আমরা উন্নত দেশ হব। সেখানে আমরা ২০তম অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে অবস্থান করব। এ ক্ষেত্রে আমাদের অবকাঠামো উন্নয়নসহ কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। সেগুলোর জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। আমরা অবকাঠামো উন্নয়নে হাত দিয়েছি। আমরা গভীর সমুদ্রবন্দর করছি। গ্যাস, বিদ্যুতের উন্নয়ন করছি। ২০৩০ সালে ৩৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করব। আমাদের প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপের মাধ্যমে কাজ করা দরকার। হয়তো আমাদের প্রাইভেট সেক্টরে বিনিয়োগ কম। তবে আমরা তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছি তাদের বিনিয়োগ বাড়বে। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার মতো উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশ। হয়তো মালয়েশিয়ার মতো এখনো অত উন্নত নই আমরা।’

এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লসের কোনো কারণ নেই। আমাদের রফতানিও কমবে না বরং বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়বে। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে পৌঁছানো এখন প্রাথমিক স্বীকৃতি পেয়েছি। তিন বছর পর পাব আমরা চূড়ান্ত স্বীকৃতি। তিন বছর আমাদের তারা দেখবে। তাই আমরা এখন খুব সহজেই ঋণ সংগ্রহ করতে পারব।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের রফতানি শুধু পোশাক খাতের ওপর নির্ভরশীল থাকবে না। আমরা লেদার, ফার্মাসিউটিক্যাল, আইটি সেক্টরসহ বিভিন্ন সেক্টরের পণ্য রফতানি করব। আর আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) হবে রফতানির প্রধান খাত।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist