নিজস্ব প্রতিবেদক
‘উন্নয়নশীল দেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম বাংলাদেশ’
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার পর যেসব বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ আসবে সেগুলো মোকাবিলা করতে বাংলাদেশ সক্ষম। বাংলাদেশ অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বর্তমান অবস্থানে এসেছে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল দেশের স্বাধীনতা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি।
বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ বিষয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু উপস্থিত ছিলেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাক শিল্পকে বাধাগ্রস্ত করার চক্রান্ত হয়েছিল। এ শিল্পের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করতে শিশু শ্রম বন্ধ এবং রফতানি ক্ষেত্রে কোটা প্রথা বাতিল করে বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ সফলতার সঙ্গে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে এসেছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাঙালি বীরের জাতি, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে জানে। উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার পর যেসব বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ সামনে আসবে, সেগুলো মোকাবিলা করতে প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ। পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের দেওয়া জিএসপি সুবিধা জিএসপি প্লাস নামে পাওয়া যাবে। যেসব দেশ জিএসপি প্লাস সুবিধা প্রদান করবে না, সেসব দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি করা হবে। এতে করে রফতানি বাণিজ্য ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। ২০২৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ আরো বেশি বিশ^ বাণিজ্যে সক্ষমতা অর্জন করবে। তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাতির পিতার জন্মদিনে বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণের সংবাদ বাঙালি জাতির জন্য গৌরবের ও মর্জাদার। এক সময় যারা বলেছিল, বাংলাদেশ হলো তলাবিহীন ঝুড়ি, বিশে^র দরিদ্র দেশের মডেল হবে বাংলাদেশ। আজ বাংলাদেশ বিশে^র মধ্যে উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশ এখন বড় বড় প্রকল্প নিজ অর্থায়নে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন মর্যাদার আসনে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ওষুধ শিল্প বাংলাদেশের অন্যতম রফতানি খাত হবে।
"