বেনাপোল প্রতিনিধি
৫ মাসের মাথায় মোড়কের ওপর শুল্কায়নের সিদ্ধান্ত স্থগিত
ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন, দ্রুত আমদানি পণ্যের শুল্কায়ন ও পণ্য খালাসের জন্য মোড়কের শুল্কায়নের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এখন শুধুমাত্র আমদানি পণ্যেরই শুল্কায়ন করতে হবে। পণ্য শুল্কায়নের ক্ষেত্রে ২০১৭ সালের অক্টোবরে দেওয়া নির্দেশনা স্থগিত করেছে এনবিআর। ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, আমদানি পণ্যের পাশাপাশি মোড়কেরও শুল্কায়ন করতে হবে। গত সোমবার এনবিআর সদস্য (শুল্কনীতি ও আইসিটি) মো. ফিরোজ শাহ আলম স্বাক্ষরিত এক আদেশে আগের নির্দেশনা স্থগিত করা হয়। এ-সংক্রান্ত আদেশের কপি বিভিন্ন কাস্টমস হাউস ও ভ্যাট কমিশনারেটে পাঠানো হয়েছে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, শুল্ক আইন ও বিধিমালা, ২০০০ অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা আমদানিকরা মোড়কজাত (প্যাকেজিং) পণ্যের শুধুমাত্র ওজনের (নিট ওয়েট) ওপর শুল্ক প্রদান করে আসছে। এ ছাড়া কাস্টমসের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডের ভ্যালুয়েশন ডাটাবেজ মোড়কের ওপর লেখা পণ্যের মূল্যের ভিত্তিতে এতদিন কাস্টমস কর্মকর্তারা পণ্যের শুল্কায়ন করে আসছে। কিন্তু ২০১৭ সালের অক্টোবরে এনবিআর পণ্যের মূল্যের সঙ্গে মোড়কের মূল্য যোগ করে শুল্কায়ন করার নির্দেশনা জারি করে। এ নিয়ে কাস্টমস হাউসে শুল্কায়নে জটিলতা সৃষ্টি হয়। অনেক বাণিজ্যিক আমদানিকারক আমদানিও বন্ধ করে দেন। ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাতে থাকে সরকার।
ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, বাংলাদেশ এখনো মোড়ক তৈরির ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়নি। মোড়কের শুল্কায়নের ফলে পণ্যের ব্যয় বাড়বে, দ্রুত পণ্য খালাস হবে না এবং পণ্য মূল্য বৃদ্ধি পাবে। এ আদেশের ফলে কাস্টমস হাউস ও কমিশনারেটে আমদানিকৃত পণ্যের জট লেগে যায়।
"