নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রযুক্তি বিনিময়ে চীনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চা বোর্ডের চুক্তি
সংকর জাতের চা গাছ ও চায়ের পোকামাকড় দমনের নতুন পদ্ধতি উদ্ধাবন, চাবিষয়ক প্রযুক্তি বিনিময়সহ বেশ কয়েকটি খাতে যৌথভাবে কাজ করতে চীনের চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশের চা বোর্ড। সচিবালয়ে গতকাল বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক মোহাম্মদ আলী এবং চীনের চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ইয়াজুন ইয়াং নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম এ সময় উপস্থিতি ছিলেন। অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এই সমঝোতা স্মারকের ফলে চা নিয়ে যারা গবেষণা করেন তারা সমৃদ্ধশালী হবেন।
বাংলাদেশে ২০১৫ সালে ১০ দশমিক ৬৮ মিলিয়ন কেজি চা আমদানি হয়েছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালে ৮ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন কেজি এবং ২০১৭ সালে ৬ মিলিয়ন কেজি চা আমদানি করা হয়। আমাদের যে উৎপাদন হয় তাতে চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছি। ২০১৭ সালে ৮০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। গতবার দেশে চায়ের চাহিদা ছিল ৮৫ মিলিয়ন কেজি। এর পরেও আমরা ২ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন চা রফতানি করেছি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চীনের চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তির ফলে বাংলাদেশের চা উৎপাদনের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে। বাংলাদেশের চা গবেষণা জাতীয় পর্যায় থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উপনীত হতে সমর্থ হবে। উভয় দেশের চা গবেষণা প্রতিষ্ঠান সমৃদ্ধ হবে। এই চুক্তির ফলে সংকর জাতের চা গাছ ও চায়ের পোকামাকড় দমনের নতুন পদ্ধতি উদ্ধাবন, চা তৈরি, চায়ের প্রাণরসায়ন, চায়ের গুণগত মান উন্নয়ন, আধুনিকায়ন এবং চা অর্থনীতির ওপর উভয় পক্ষের মধ্যে গবেষণা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে। সমাঝোতা স্মারকের আওতায় উভয় দেশ চাবিষয়ক প্রযুক্তি বিনিময় ছাড়াও দেশ দুটির চা বিশেষজ্ঞ ও বিজ্ঞানীদের নিয়ে সম্মেলন, সিম্পোজিয়াম, সেমিনার এবং মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
"