নিজস্ব প্রতিবেদক
বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা বিতরণে অনিয়ম
দেশের বৃহত্তম কয়লাখনি বড়পুকুরিয়ার কয়লা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন ইটভাটা মালিকরা। কয়লা সিন্ডিকেটের কারণে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। আবেদনকারী ব্যবসায়ীরা কয়লা না পেলেও সিন্ডিকেটের সদস্যরা প্রতিনিয়তই কয়লা পাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অসাধু সিন্ডিকেটের কারণে ভরা মৌসুমেও বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা পাচ্ছেন না ইটভাটা ব্যবসায়ীরা। উপযুক্ত সময়ে ও চাহিদা মোতাবেক কয়লা না পাওয়ায় ইট তৈরির কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। এদিকে খনি কর্তৃপক্ষ বলছে, তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিন মাসের কয়লা মজুদ রেখেই তারপর কয়লা সরবরাহ করা হচ্ছে। সিরিয়াল মেনে কয়লা সরবরাহের কারণে অনেক ভাটা মালিক চাহিদা মতো কয়লা পাচ্ছেন না।
তবে সরেজমিন দেখা যায়, তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিন মাসের জন্য যেটুকু পরিমাণ কয়লা মজুদ থাকার কথা সেই পরিমাণ কয়লা খনিতে মজুদ নেই।
২০০৫ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে বাণিজ্যিকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হয় বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে। বিদেশি কয়লার চেয়ে এখানকার কয়লার গুণগত মান ভালো হওয়ায় অল্পদিনে চাহিদা দাঁড়ায় দ্বিগুণ। চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে অসাধু সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য। সিন্ডিকেটের কারণে সাধারণ ব্যবসায়ীরা নিয়ম অনুযায়ী আবেদন করেও সময় মতো কয়লা পাচ্ছেন না। প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশ অথবা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গেলে তবেই পাওয়া যাচ্ছে বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা। সাধারণ ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চড়া দামে কয়লা কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। এ ছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে সিন্ডিকেটের সদস্যরা কয়লা সংগ্রহ করছেন।
গত বছরের নভেম্বরে ১৫ হাজার ৯২১ টাকা দরে প্রতি মেট্রিক টন কয়লা বিক্রি করছিল বড়পুকুরিয়া খনি কর্তৃপক্ষ। চলতি মাসের ২২ তারিখে পূর্বের মূল্য বৃদ্ধি করে ১৬ হাজার ৮৫৫ টাকা নির্ধারণ করে। তবে রোববার পর্যন্ত মূল্য বৃদ্ধি করার কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পত্রিকা দেখাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
বড়পুকুরিয়া খনি থেকে উৎপাদিত কয়লা দিয়ে পাশবর্তী কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র চলে।
"