নিজস্ব প্রতিবেদক
২০৫০ সালে ধান উৎপাদন কমবে ১৪-১৭ শতাংশ
২০৫০ সাল নাগাদ দেশে ধানের উৎপাদন হেক্টরপ্রতি ১৪-১৭ শতাংশ কমার আশঙ্কা করা হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ধানের উৎপাদন এত ব্যাপক হারে কমবে বলে ধারণা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)।
বিআইডিএসের দাবি, কার্যকর উদ্যোগ না নিলে ২০৩০ সালের পর থেকেই কমতে থাকবে ধানের উৎপাদন। এ অবস্থায় ঝুঁকি মোকাবিলায় সক্ষম জাত উদ্ভাবন এবং তা দ্রুত কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ওপর জোর দিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি। চলতি বছর বোরো মৌসুমের শুরুতে পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যায় হাওর অঞ্চলের প্রায় চার লাখ হেক্টর ধানিজমি। কয়েক দফা বন্যায় ক্ষতির মুখে পড়ে আরো ৩১ জেলা। এতে বোরো-আউশ মিলিয়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১ লাখ টন কম হয়েছে ধানের উৎপাদন। সেই সঙ্গে তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে দেখা দিচ্ছে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ।
বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলছে, শুধু কার্বন নিঃসরণের কারণেই ২০৫০ সাল নাগাদ তাপমাত্রা বাড়বে প্রায় এক ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর প্রভাবে বাড়বে ঝড়, বন্যা, খরাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এডিবির তথ্যমতে, বর্তমানে বন্যার দিক থেকে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ। শুধু বন্যার কারণে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে বছরে ধানের গড় উৎপাদন কমবে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। বিআইডিএসের দাবি, শুধু বন্যা নয়, তাপমাত্রা বৃদ্ধি সরাসরি প্রভাব ফেলবে ধানের উৎপাদনে। তাপমাত্রা এক ডিগ্রি বাড়লে আমন ও আউশের উৎপাদন হেক্টরপ্রতি কমবে প্রায় এক থেকে দেড় টন। আর বুয়েট বলছে, দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়লে বছরে আমন ও বোরো মিলিয়ে দেশে ধানের উৎপাদন কমবে প্রায় ১৫ শতাংশ বা ৫০ লাখ টন। তাপমাত্রা বাড়লে খরাপ্রবণ হয়ে পড়বে দেশের উত্তরাঞ্চল। অন্যদিকে উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হওয়ায় বাড়বে লবণাক্ততা।
"