নিজস্ব প্রতিবেদক
নেপালে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার বাড়ছে
নেপালে বাংলাদেশের বাণিজ্যের ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ভারত সরকার কাঁকরভিটা ট্রানজিট অনুমোদন করায় বাংলাদেশ থেকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে নেপাল তথা রাজধানী কাঠমান্ডুতে পণ্য পৌঁছে যাচ্ছে। এ সুবিধার কারণে সামনে সুযোগ রয়েছে সহজেই নেপালের মার্কেটে বাংলাদেশি পণ্যের জায়গা করে নেওয়ার।
ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে ৭৮ ধরনের পণ্য রফতানি হচ্ছে নেপালে। গত চার বছরে রফতানির পরিমাণও বেড়েছে প্রায় চার গুণ। যদিও এর বেশি রফতানির সুযোগ রয়েছে বলে ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা মনে করেন। কারণ বাংলাদেশের তুলনায় ভারত বা অন্য দেশ থেকে নেপালে পণ্য গেলে পরিবহন ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। ফলে পণ্যের দাম পড়ে যায় বেশি।
এক বাণিজ্য পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত চার বছর আগেও নেপালে রফতানির পরিমাণ ছিল সামান্য। বর্তমানে কাঁকরভিটা ট্রানজিট অনুমোদনে পরিস্থিতি বদলেছে। নেপালের বাণিজ্য ও সরবরাহ মন্ত্রণালয়ের এক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে বাংলাদেশ এক কোটি ৯৫ লাখ ডলারের পণ্য আমদানির বিপরীতে রফতানি করেছে এক কোটি ৮৯ লাখ ডলারের পণ্য। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ দুই কোটি ৪৩ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি করার বিপরীতে আমদানি করে এক কোটি ৯০ লাখ ডলারের পণ্য। গতবছর চার কোটি ৬৬ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি করে। আর আমদানি করে এক কোটি ২৯ লাখ ডলারের পণ্য।
গত শুক্রবার নেপালের কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের কার্যালয়ে নেপালে সফররত মোবাইল, ইলেকট্রনিক্স এ্যান্ড অটোমোবাইল জার্নালিস্টস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (মিয়াজাব) সঙ্গে বৈঠক করেন রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটা ভুল ধারণা আছে যে, স্থলপথে পণ্য রফতানিতে অনেক জটিলতা ও ঝামেলা রয়েছে। ভারতের ভেতর দিয়ে পণ্য যাতায়াতে ভারত ঝামেলা সৃষ্টি করে। কিন্তু এ ধারণা একেবারেই ভুল।
"