তারুণ্য ডেস্ক
বাংলাদেশি তরুণ বিজ্ঞানীর অনন্য উদ্ভাবন
স্থূলতা, হাইপার কোলেস্টেরলেমিয়া ও ডায়াবেটিস। বিশ্বব্যাপী জটিল রোগগুলোর মধ্যে এগুলো অন্যতম। এসব রোগ নিয়ে চলছে নিরন্তর গবেষণা। তবে বাংলাদেশের এক তরুণ বিজ্ঞানীর উদ্ভাবন অণুজীববিজ্ঞানীদের গবেষণায় এনে দিয়েছে নতুন মাত্রা। এই জটিল রোগগুলো মেটাবলিক উপসর্গজনিত। এতদিন ধরে এসব রোগের কারণ জানা ছিল না। দীর্ঘ পাঁচ বছর গবেষণা করে সেই কারণ আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন বাংলাদেশি তরুণ বিজ্ঞানী ড. কে.বি.এম. সাইফুল ইসলাম। তিনি জাপানের হোক্কাইডো ইউনিভার্সিটিতে এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে এ গবেষণা করেন। ইঁদুরের ওপর গবেষণা করে এই বিজ্ঞানী প্রমাণ করেন, সাম্প্রতিক সময়ের বহুল আলোচিত বিভিন্ন মেটাবলিক উপসর্গজনিত রোগসমূহ এবং অন্ত্রস্থ ব্যাকটেরিয়ার পারস্পরিক সম্পর্ক মূলত একটি শারীরবৃত্তীয় নিঃসরণ (পিত্তরস, যার নিঃসরণ উচ্চমাত্রার চর্বিযুক্ত খাবারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। তার এই মৌলিক আবিষ্কার যুক্তরাষ্ট্রের আমেরিকান গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন তাদের প্রকাশিত ‘গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি’ জার্নালে প্রকাশ করেছে। এই বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করে তরুণ এ বিজ্ঞানী পেয়েছেন এশিয়ান ইয়ং ল্যাব সায়েনটিস্ট অ্যাওয়ার্ড। তিনি বলেন, পিএইচডি গবেষণায় তার আবিষ্কার ও ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়ার ওপর ষষ্ঠ এশিয়ান সম্মেলনে এ পুরস্কার পান। তিনি আরো জানান, আবিষ্কারটি হোক্কাইডো ইউনিভার্সিটির অ্যাগ্রিকালচারাল ফ্যাকাল্টির বিগত ১৩৫ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টরধারী জার্নালে প্রকাশিত হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন।
এ ছাড়া ড. সাইফুল ইসলাম স্বীকৃতি পেয়েছেন ‘ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মাইক্রোবায়োলজিক্যাল সোসাইটি (আইইউএমএস), জাপান সোসাইটিস ফর ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া (জেএস ল্যাব ও এশিয়ান ফাউন্ডেশন অব সোসাইটিস ফর ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাকটেরিয়া (এএফএস ল্যাব) কর্তৃক। এএফএস ল্যাবের চেয়ারম্যান ও সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ইয়ান কুন লী এবং এসি ল্যাব-৬ এর চেয়ারপারসন ও ইশিকাওয়া প্রিফেকচুরাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক কেনজি ইয়ামামাতো স্বাক্ষরিত সনদ প্রদান করা হয়েছে তাকে।
সাইফুল ইসলাম বলেন, এতদিন আমরা জানতাম ব্যাকটেরিয়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্ষতিকর। বর্তমানে বেছে বেছে প্রো-বায়োটিক বা উপকারী ব্যাকটেরিয়া মানুষ ও যাবতীয় প্রাণিকুলের উপকারে ব্যবহার করা যাবে। যে প্রাণীই প্রো-বায়োটিক ভক্ষণ করবে, তার শরীরের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে, এতে ওই প্রাণী উপকৃত হবে।
"