তারুণ্য ডেস্ক
‘স্ক্যাটিং’-এ উচ্ছল তারুণ্য
তারুণ্য চির চঞ্চল। তারুণ্য প্রাণোচ্ছল। এমন উচ্ছলতায় নতুন মাত্রা যোগ করে মজার খেলা ‘স্ক্যাটিং’। কালো পিচ রাস্তায়, আপনার জুতোর নিচে লাগানো বিশেষ ধরনের চাকা শারীরিক ছন্দে আপনাকে খুব দ্রুত নিয়ে যাবে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়।
পশ্চিমা দেশগুলোতে এই খেলাটি অনেক পুরনো হলেও আমাদের দেশে এটি একেবারেই নতুন। তবে খেলাটি খুব দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে আমাদের দেশেও। আর হবেই না কেন? এ খেলার রয়েছে অনেক ইতিবাচক দিকও। মনে রাখতে হবে স্ক্যাটিং করা শুধু খেলা নয়, এটা সবার শরীর ও মনকেও রাখে চনমনে। এ খেলার অনেক ভালো দিক আছে-
১. স্ক্যাটিং করলে পরিবেশ দূষণ হয় না।
২. শরীর ভালো রাখে।
৩. আলাদাভাবে ব্যায়াম করার দরকার হয় না।
৪. স্ক্যাটিং কোন জ্যাম সৃষ্টি করে না।
স্ক্যাটিংয়ে কোনো তেল বা গ্যাস ব্যবহৃত হয় না বলে পরিবেশ দূষণ হয় না। ব্যায়াম করা এবং এর আয়োজনের জন্য অনেক সময় নিতে হয়। কিন্তু মাত্র ২০ মিনিট স্ক্যাটিং করেই শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখা সম্ভব।
অনেকে স্ক্যাটিং করে কর্মক্ষেত্রেও যেতে পারেন। খুব কম জায়গা লাগে বলে রাস্তায় জ্যামের ঝামেলা থাকে না। অনন্য উপকারী বৈশিষ্ট্যের জন্য আধুনিক রাষ্ট্রগুলোর মতো বাংলাদেশেও দ্রুত এ খেলা জনপ্রিয় হচ্ছে।
এক জোড়া স্ক্যাটিং জুতোর দাম পড়বে অন্তত দুই হাজার টাকা। তবে ১-২ লাখ টাকা দামেরও জুতো রয়েছে। ঢাকায় বেশ কয়েকটি স্ক্যাটিং ক্লাব রয়েছে। এর মধ্যে শাহবাগের ‘সার্চ স্ক্যাটিং ক্লাব’ অন্যতম। আমাদের দেশে স্ক্যাটিং শেখার মতো যথেষ্ট ক্লাব না থাকলেও নিজে নিজেই এই খেলায় দক্ষতা অর্জন করা যায়।
"